কক্সবাজারের মহেশখালীর আদিনাথ মন্দিরে শুরু হয়েছে সপ্তাহব্যাপী শিব চতুর্দশী মেলা। ঐতিহ্যবাহী এই মেলা ঘিরে মন্দিরের আশপাশের এলাকাজুড়ে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে কয়েক শ দোকানপাট। আজ বুধবার সকাল থেকে সপ্তাহব্যাপী এই মেলা শুরু হয়েছে।

এদিকে শিব চতুর্দশী তিথি উপলক্ষে আদিনাথ মন্দিরে তীর্থযাত্রীদের ঢল নেমেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে থেকে তীর্থযাত্রীরা সেখানে ভিড় করেছেন। আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত অন্তত ৫০ হাজার তীর্থযাত্রীর সমাগম হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকেরা।

কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে সাগরের বুকে মহেশখালী দ্বীপ। দ্বীপের গোরকঘাটা ইউনিয়নের ঠাকুরতলা গ্রামে সাগরের পাশে একটি উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত আদিনাথ মন্দির। বেলা ১১টার দিকে মন্দির এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতে অসংখ্য মানুষের ভিড়। সারি বেঁধে ওপরে ওঠার চেষ্টা করছেন তাঁরা। ভিড় ঠেলে ওপরে ওঠার পর মন্দিরের পুকুরে স্নান করছেন পুণ্যার্থীরা। পরে মৃত পূর্বপুরুষের আত্মার সন্তুষ্টির জন্য তর্পণ শেষে মন্দিরে শিবদর্শন করছেন। পাহাড়ের চূড়ায় মন্দিরের পাশে সারবদ্ধভাবে সাধু-সন্ন্যাসীদের বসে থাকতে দেখা যায়। তীর্থযাত্রীসহ মেলায় আসা লোকজনের নিরাপত্তায় মন্দির প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। দুটি ড্রোন ক্যামেরা দিয়েও চারপাশ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

সরেজমিনে কয়েকজন তীর্থযাত্রীর সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানান, যাঁরা সড়কপথে আদিনাথ মন্দিরে এসেছেন, তাঁদের যাত্রাপথে তেমন সমস্যা হয়নি। তবে নৌপথে যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রায় সবাইকে ভিড়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

সপ্তাহব্যাপী মেলা উপলক্ষে বসেছে দোকানপাট। আজ সকালে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।

গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।

নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।

এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জেলা আইনজীবী ফোরামের পদযাত্রা
  • রাবি উপাচার্যের চেয়ার টেনে পদ্মায় ফেলার আহ্বান ছাত্রদল সভাপতির
  • জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা
  • গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাবি শিবিরের ৩ দিনব্যাপী কর্মসূচি
  • ২৯ জুলাই-৮ আগস্ট ‘ফ্যাসিবাদী শক্তির’ নৈরাজ্যের আশঙ্কায় এসবির সতর্কতা
  • ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন