নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর শিশুকে হত্যা
Published: 26th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বায়েজিদ (৯) নামে এক শিশুকে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
দাপা ইদ্রাকপুর শৈলকুড়া এলাকার একটি ইটভাটার পরিত্যক্ত জায়গা থেকে মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত বাইজিদ ফতুল্লা রেলস্টেশন এলাকার সাইফুল আকনের ছেলে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম জানান, ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চটপটি খাওয়ানোর কথা বলে প্রতিবেশী ফেরদৌস বাসার সামনে থেকে ডেকে নিয়ে যায় শিশু বায়েজিদকে। পরে রাতে শিশুটির বাবাকে ফোন করে ছেলেকে জীবিত পেতে হলে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে বায়েজিদকে হত্যা করা হবে বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে শিশুর বাবা বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি অভিযোগ করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ফেরদৌসকে কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থেকে আটক করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ইটভাটার পরিত্যক্ত ঝোঁপ থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/অনিক/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্য বিভাগের প্রস্তুতি গ্রহন
সম্প্রতি দেশে করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সতর্কতামুলক জরুরি নির্দেশনা অনুসারে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা শিল্প অধ্যুষিত এলাকা। ছোট্ট এই জেলাতে রয়েছে তৈরি পোশাক, পাট, সিমেন্টসহ নানা ধরনের কল-কারখানা। এসব কল-কারখানায় কাজ করছেন লাখো মানুষ। কাজের খোঁজে দেশের নানা প্রান্ত থেকে এখানে লোকজন ছুটে আসেন।
অনেকে আবার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন। বিশেষ করে কোরবানির ঈদ উপলক্ষে এ জেলা থেকে বিভিন্ন জেলায় ঈদ করতে যাওয়া লোকজন ফের নারায়ণগঞ্জে ফিরছেন। তাই এখানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়েছে।
বিষয়টি বিবেচনায় রেখে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। সম্ভাব্য করোনা মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়েও সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও জানান, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজন মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। নাক-মুখ ঢাকার জন্য মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরে থাকতে হবে। অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ না করতে অনুরোধ জানিয়েছে। এছাড়া হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক মুখ ঢাকতে হবে।
করোনা মোকাবেলার লক্ষ্যে আক্রান্ত রোগীদের সেবা প্রদান, স্বাস্থ্য ডেস্ক চালু, চিকিৎসাকাজে স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ মাস্ক, গ্লাভস ও রোগ প্রতিরোধী পোশাক (পিপিই) মজুত রাখতে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এ এফ এম মুশিউর রহমান আরও জানান, নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালে করোনাভাইরাস শনাক্তে রোগীর নমুনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর মেশিন আছে। আমরা দু'একদিনের ভিতরে কিট সরবরাহ করে সেই মেশিন গুলো চালু করব। পরীক্ষা নিরীক্ষা গুলো আমাদের হাসপাতালেই হবে।
এ হাসপাতালকে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে সিলেক্ট করেছি। গত করোনা কালীন সময়েও এ হাসপাতাল ডেডিকেটেড হিসেবে কাজ করেছে। জেনারেল রোগী গুলা এখানে ভর্তি হবে। আর কোন কিছুতে আতঙ্কিত না হয়ে যদি কোন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিবেন।
আইসোলেশনে থাকবেন এবং মাক্স ব্যবহার করবেন ও স্বাভাবিক খাবার দাবার খাবেন এবং জনসমাগম ভীড় এড়িয়ে চলবেন তাহলে আমি মনে করি এই করোনা সংক্রমণকে রোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আর নারায়ণগঞ্জে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পূর্ণ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে রোগ প্রতিরোধে নির্দেশনাগুলো প্রচার করতে বলা হয়েছে।