আমরা কোন মেজরিটি-মাইনরিটি মানিনা: জামায়াত আমির
Published: 26th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, “আমাদের ছোট্ট একটি দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ। সব মানুষ আমরা মিলেমিশে থাকতে চাই। এর মাঝেই আমাদের গর্ব, সৌন্দর্য, শান্তি নিহিত। আমরা এই বার্তা দেশবাসীকে দিয়ে চলছি। আমাদের সাফ কথা- আমরা এই দেশে কোন মেজরিটি-মাইনরিটি মানি না।”
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় চিনিকল মাঠে জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে মানুষের মধ্যে পার্থক্য করা যাবে না। এ দেশে যেই জন্ম নিয়েছে, সেই এ দেশের গর্বিত নাগরিক। আমরা নাগরিকদেরকে ভাগবাটোয়ারা, ধর্ম কিংবা দলে বিভক্ত করার পক্ষে নই। এটা করত অতিতের পতিত স্বৈরাচার। তারা জাতিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে মুখোমুখি লাগিয়ে রেখেছিল।”
ডা.
তিনি বলেন, “একটাই জাতি আমরা, আমাদের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। তবে হ্যা অবশ্যই আমাদের জাতিগত পরিচয় থাকবে এইভাবে- আমি মুসলমান, তিনি হিন্দু অথবা খ্রিস্টান কিংবা বৌদ্ধ। আমরা সবাইকে নিয়ে চলার পক্ষে। কিন্তু এটাও সত্য- কেউ যেন কারো ধর্ম নিয়ে খোঁচাখুঁচি না করে। এটা আমরা একেবারেই ঘৃণা করি, অপছন্দ করি। যারা মেজরিটি-মাইনরিটির জিকির তুলেছিলেন। তারা যাদেরকে মাইনরিটি বলতেন, তাদের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি তারাই করেছিলেন।”
তিনি আরো বলেন, “ভারতসহ দুনিয়ার সকল দেশ আমরা একই বিশ্বসভার সদস্য। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি। আমরা আমাদের প্রতিবেশিকে অহেতুক কষ্ট দিতে চাই না। আমাদের প্রতিবেশিও যেন আমাদের উপর এমন কিছু চাপিয়ে না দেন যা বাংলাদেশের মানুষের জন্য অপমানজনক। যদি এরকম কিছু তারা করে, তাহলে দেশের স্বার্থে সেদিন আমরা ভূমিকা পালন করতে কারো চোখের দিকে তাকাব না। আমরা বিবেকের দিকে তাকিয়ে, বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হব।”
বক্তব্যের শেষ দিকে তিনি দেশ গড়ার কাজে সকলকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। পরে ডা. শফিকুর রহমান পঞ্চগড় সার্কিট হাউজে স্থানীয় স্থানীয় জামাতের নারী সদস্য এবং বিশিষ্টজনদের সাথে পৃথক মতবিনিময়ের পর তিনি নীলফামারীর ডোমারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।।
পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জাগপা সভাপতি ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন সাঈদী, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান;
ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম, নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, জামায়াত নেতা ব্যারিস্টার মাহমুদ আল মামুন হিমু, তোফায়েল প্রধান, পঞ্চগড় জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বী, পঞ্চগড় জেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন, বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট পার্টির সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রমুখ।
ঢাকা/নাঈম/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র রহম ন র আম র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
অপকর্মকারীদের দায় দল নেবে না: তমিজ উদ্দিন
ঢাকার ধামরাইয়ে বিএনপির এক জনসভায় দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য তমিজ উদ্দিন বলেছেন, ‘‘যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়াবে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্ট করে দিয়েছেন— দল তাদের দায়িত্ব নেবে না।”
রবিবার (১৫ জুন) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের নবগ্রাম বাজারে কাওয়ালীপাড়া-নবগ্রাম বাজার কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
ধামরাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্ব জনসভায় উপজেলার গাংগুটিয়া, আমতা, বালিয়া, কুশুরা ও সানোড়া ইউনিয়নের বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
এসময় তমিজ উদ্দিন বলেন, ‘‘আমাদের সামনে লড়াই এক দিকে নয়। দলের চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনে নির্বাচন, নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এই সময় আমাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। কারণ আমরা মোনাফেক, মীরজাফর সবাইকে নিয়ে একত্রে চলছি। আমরা এই চলাটা চাই না। আমরা চাই, দলে প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, সুন্দর থাকবে। সেখান থেকে যোগ্যরা এগিয়ে আসবে, আমরা সবাই তার সঙ্গে থাকব। এখানে ঐক্য ছাড়া বিকল্প কিছু নাই। যারা সন্ত্রাসী করবে, তারেক রহমান পরিষ্কার বলেছেন, তিনি তাদের দায়িত্ব নেবেন না। অর্থাৎ দল তাদের দায়িত্ব নেবে না। অতএব যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত আছে, তাদের বিএনপির বলে চিন্তা করবেন না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘বিএনপি করে বিএনপির সুবিধা নিয়ে যারা আওয়ামী লীগের সময় আঁতাত করেছে। এখন বড় নেতা হয়েছে, তাদের বিষয় ঠান্ডা মাথায় খেয়াল রাখতে হবে। যেমনটি তারেক রহমান সাহেব বলেছেন, সামনে একটা কঠিন নির্বাচন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি। নির্বাচন দেবে কিন্তু ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। আপনাদের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। এখানে আমরা সবাই জানি, ধামরাইয়ে নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দিতে পারলে কি হবে আমরা জানি। আমরা সুন্দর পরিবেশের অপেক্ষায় আছি।’’
সভায় আরও বক্তব্য দেন ধামরাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি রাকিবুর রহমান খান ফরহাদ, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সহসভাপতি আব্দুল মান্নান মধু, আমতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবু, উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী এইচ এম লুৎফর রহমানসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ধামরাই উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
এছাড়াও উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুবদল নেতা মো. খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/সাব্বির/এস