থাইল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে শিক্ষা সফরের বাস নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর উল্টে খাদে পড়ার ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে প্রাচিনবুরি প্রদেশের নাদি জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। খবর আল জাজিরার।

বুয়েং কান থেকে আসা বাসটি রায়ংয়ের দিকে যাচ্ছিল। বাসের চালকসহ ৪৯ আরোহীর সবাই থাই নাগরিক বলে জানিয়েছে পুলিশ। রয়েল থাই পুলিশের কর্নেল সোফোন ফ্রামানিহি বলেন, ‘ঢালু রাস্তায় ব্রেক ফেইল করায় চালক গাড়িটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। পরে বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যায় বলে ধারণা করছি।’

দুর্ঘটনাস্থলটি রাজধানী ব্যাংককের ১৫৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তদন্ত করছে পুলিশ।

এদিকে থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রা নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেছেন এবং বলেছেন, এই ঘটনায় তদন্ত চলছে। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে কিনি বলেছেন, “দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহনের মানদণ্ড লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে বা যানবাহনের বেপরোয়া ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ