খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় রাজিব টিকাদার নামে এক যুবক এবং বালু বোঝাই ট্রলি খাদে পড়ে দুর্ঘটনায় আশিকুল ইসলাম রায়হান (৭) নামে এক শিশু শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। 

বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) খুলনার সাচিবুনিয়া ও তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়নের মোকামপুর গ্রামে আলাদা দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। 

খুলনার সাচিবুনিয়া এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত রাজিব টিকাদার বটিয়াঘাটা উপজেলার চক্রাখালী এলাকার পরিমল টিকাদারের ছেলে। 

খুলনা রেলওয়ে থানার এসআই এমদাদুল হক বলেন, “বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার বেতনা কমিউটর ট্রেনটি বেনাপোল থেকে মোংলার দিকে যাচ্ছিল। এসময় সাচিবুনিয়া বাজার থেকে হেঁটে রাস্তা পার হচ্ছিলেন রাজিব। এসময় তিনি ট্রেনের ধাক্কায় রাস্তায় পড়ে যান। তার মাথার বাম পাশে, বাম হাতের কনুই, বাম হাতের কব্জি আঘাত প্রাপ্ত হয় এবং বাম পায়ের বৃদ্ধ আঙ্গুলসহ ৩টি আঙ্গুল কেটে পড়ে যায়। 

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অপরদিকে, তেরখাদার উপজেলায় নিহত শিশু আশিকুল ইসলাম রায়হান মোকামপুর এলাকার আলতাফ কাজীর ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার বিকেলে মোকামপুর গ্রামের শাহাজান শেখের বাড়ির সামনে বালু ভর্তি ট্রলি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে পার্শ্ববর্তী খালের পানিতে পড়ে যায়। এসময় স্কুল শিক্ষার্থী আশিকুল ইসলাম রায়হান বালুর নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং গাড়ির ড্রাইভার রুবেল বিশ্বাস আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ড্রাইভারকে খুলনা মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

তেরখাদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, “বালুবাহী ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঘটন য়

এছাড়াও পড়ুন:

রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ 

বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে (জাকির) উপজেলার মুড়াপাড়া বাজার এলাকায় এ লিফলেট বিতরণ করা হয়। 

এসময় জেলা জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৩১ দফা মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র। বিগত ১৭ বছর দেশের মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল।

মানুষের কথা বলার অধিকার ছিল না। ভোটের অধিকার ছিলনা। তাই ২৪’এর গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়েছিল। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট চান তিনি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা আল আমিন, সৈয়দ গোলাপ, মোক্তার, কাজী শান্ত, সেচ্ছাসেবকদলের দেলোয়ার হোসেন প্রধান, আসাদ, মোশাররফ, ছাত্রদলের লাদেন হোসেন, শিপন, আবির, আপন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘নির্বাচনের আগেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দেওয়া হবে’ 
  • প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাযায় মতি, কান্নাজড়িত কণ্ঠে চাইলেন ক্ষমা
  • সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার ও ২১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
  • কষ্টি পাথরের শিবলিঙ্গসহ গ্রেপ্তার ৩
  • ১২ ও ১৩ নং ওয়ার্ডের পোলিং এজেন্টদের নিয়ে প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত 
  • রূপগঞ্জে ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে লিফলেট বিতরণ