বারবার আশা ভঙ্গের ধাক্কায় তারাও এতটাই হতাশ, এখন পাকিস্তান দলকে নিয়ে হাসিঠাট্টায় দুঃখ ভুলছে। তারাও দলের তারকা ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স নিয়ে এতটাই বিরক্ত, তাদের নিয়ে ট্রল করছে। পাকিস্তানের আজ নিউজ টিভির এক টকশোতে যেমন পাকিস্তান-বাংলাদেশ আজকের ম্যাচটিকে দু’দলের জন্য ‘ডু অর ডাই’ বলে মজা করছেন।
সঞ্চালক অতিথির কাছে জানতে চাচ্ছেন– ‘ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হেরে গেলে নিশ্চয় আপসেট হবেন?’ উত্তরে অনুষ্ঠানের অতিথি এক ধাপ এগিয়ে মজা নিচ্ছেন– ‘অবশ্যই, বাংলাদেশ ফেভারিট। তাদের পেসাররা অন্তত আমাদের তারকা পেসারদের চেয়ে ভালো বোলিং করেছে। দুই দল যখন আগেই সেমির দৌড়ে ছিটকে গেছে, তখন ম্যাচটিতে জোর লড়াই হবে।’
হাসতে হাসতে কথাগুলো বললেও লড়াইটি নেহাত মন্দ হওয়ার কথা না। দুটি দলের ক্রিকেটাররা একে অন্যের সঙ্গে সাম্প্রতিক বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছেন। গত আগস্টেই রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট সিরিজ জিতে এসেছে বাংলাদেশ দল। তার পর বিপিএলেও চেনাজানা হয়েছে আফ্রিদি-মুশফিকদের সঙ্গে। পাকিস্তান এই দলের অন্তত চার ক্রিকেটার কিছুদিন আগেই বিপিএল খেলে গেছেন। খুশদিল শাহ তো বিপিএলে পারফর্ম করেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন।
বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলে গিয়েছেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও ফাহিম আশরাফ। রংপুর রাইডার্সের হয়ে খুশদিল শাহ আর উসমান খান খেলেছেন চিটাগং কিংসের হয়ে। তাই আজকের ম্যাচে বিপিএলে মোকাবিলা করা শাহীন আফ্রিদিকে খেলতে মেহেদী হাসান মিরাজদের খুব বেশি জড়তা থাকার কথা না।
খুশদিলের বিপক্ষে নাহিদ রানার বোলিং করার মধ্যেও বিপিএলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগতে পারে। জানুয়ারিতে বিপিএল চলাকালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলছিল পাকিস্তানের। সেই কারণে রিজওয়ান-বাবরদের অনেকেই বিপিএলে আসতে পারেননি। তবে তারাও অতীতে বিপিএলে নিয়মিত খেলে গিয়েছেন। তাই পাকিস্তান দলের এসব তারকা ক্রিকেটার সম্পর্কে সম্মক ধারণা থাকার কথা নাজমুল শান্তদের।
তাছাড়া বাংলাদেশ দলের বতর্মান কোচ ফিল সিমন্সের পিএসএলের দল করাচি কিংসের হয়ে কোচিং করানোরও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর ল্যাপটপেও নিশ্চয়ই পাকিস্তান দল সম্পর্কে অজানা অনেক তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ দলের সঙ্গে তো রয়েছেনই পাকিস্তানের সাবেক কিংবদন্তি লেগ স্পিনার মুস্তাক আহমেদ। তাই প্রতিপক্ষ সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা নিয়েই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ দল। তাছাড়া পাকিস্তানি চ্যানেলের ওই সঞ্চালক যতই মজা করে বলুন না কেন, আজকের ম্যাচে বাংলাদেশ কিন্তু পাকিস্তানকে ছেড়ে কথা বলবে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫