দেশের স্বার্থে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া
Published: 27th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ভুলে দেশ ও জাতির স্বার্থে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল-সংলগ্ন মাঠে বিএনপির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য থাকলেও জনগণের পাশে আছি। প্রতিশোধ-প্রতিহিংসা নয়, ভালবাসায় দেশ গড়তে হবে।
তিনি বলেন, দেশ এখন সংকটকাল অতিক্রম করছে। ফ্যাসিস্ট সরকার বিদায় নিয়েছে। রাষ্ট্র মেরামতের ন্যুনতম সংস্কার শেষ করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা উচিত।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, গণঅভ্যুত্থানের অর্জন নস্যাতের ষড়যন্ত্র করছে ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা। ইস্পাত কঠিন ঐক্যে সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিতে হবে। তাই ক্ষুদ্র সংকীর্ণতা ভুলে দেশ ও জাতির স্বার্থে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে শহিদ হয়েছেন এবং সম্প্রতি গণঅভুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেনে তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতি জানাচ্ছি সমবেদনা। আমি বর্তমানে চিকিৎসার কারণে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও সব সময় আপনাদের পাশে আছি।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।