২১ দিনে কি সত্যিই একটা অভ্যাস গড়ে তোলা সম্ভব
Published: 27th, February 2025 GMT
২১ দিনে অভ্যাস গড়ে ওঠা নিয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। বিভিন্ন বয়সের ২ হাজার ৬০০ মানুষের ওপর আলাদা আলাদা ২০টি গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেখানেই দেখে গেছে, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ২১ দিন অনেক কম সময়। মানুষ ও কাজভেদে সময়টা লাগতে পারে অনেক বেশি।
অভ্যাস চাইলেই যে গড়ে ওঠে, ব্যাপারটা এমন নয়। বরং অভ্যাস গড়ে ওঠার পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। বিশেষ করে অভ্যাসের সময়, কতটুকু শক্তি প্রয়োজন হচ্ছে, কতটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন—সবই প্রতিদিনের কাজ অভ্যাসে পরিণত হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। ধরুন, সকালে হাঁটতে যাওয়া। বয়োজেষ্ঠ্য কেউ এক-দুই সপ্তাহ নিয়মিত সকালে হাঁটতে গেলে তিনি এটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবেন। কিন্তু উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণদের জন্য ব্যাপারটি তুলনামূলক কঠিন। সময়, পারিপার্শ্বিকতা এবং কাজের জন্য শরীরে কতটুকু শক্তি আছে—সবই বড় ভূমিকা পালন করে অভ্যাস গড়ে তোলার পেছনে।
আরও পড়ুনমেয়েদের যেসব অভ্যাস ছেলেরাও রপ্ত করতে পারেন২৮ জানুয়ারি ২০২৫পরিবেশ ও কনটেক্সট বা পূর্বাপর সম্বন্ধ বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস