২১ দিনে অভ্যাস গড়ে ওঠা নিয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। বিভিন্ন বয়সের ২ হাজার ৬০০ মানুষের ওপর আলাদা আলাদা ২০টি গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেখানেই দেখে গেছে, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ২১ দিন অনেক কম সময়। মানুষ ও কাজভেদে সময়টা লাগতে পারে অনেক বেশি।

অভ্যাস চাইলেই যে গড়ে ওঠে, ব্যাপারটা এমন নয়। বরং অভ্যাস গড়ে ওঠার পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। বিশেষ করে অভ্যাসের সময়, কতটুকু শক্তি প্রয়োজন হচ্ছে, কতটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন—সবই প্রতিদিনের কাজ অভ্যাসে পরিণত হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। ধরুন, সকালে হাঁটতে যাওয়া। বয়োজেষ্ঠ্য কেউ এক-দুই সপ্তাহ নিয়মিত সকালে হাঁটতে গেলে তিনি এটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবেন। কিন্তু উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণদের জন্য ব্যাপারটি তুলনামূলক কঠিন। সময়, পারিপার্শ্বিকতা এবং কাজের জন্য শরীরে কতটুকু শক্তি আছে—সবই বড় ভূমিকা পালন করে অভ্যাস গড়ে তোলার পেছনে।

আরও পড়ুনমেয়েদের যেসব অভ্যাস ছেলেরাও রপ্ত করতে পারেন২৮ জানুয়ারি ২০২৫পরিবেশ ও কনটেক্সট বা পূর্বাপর সম্বন্ধ বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চেন্নাইয়ের বিদায়, অবসরের ইঙ্গিত দিলেন ধোনি!

আইপিএল ২০২৫-এর প্লে-অফে জায়গা হলো না চেন্নাই সুপার কিংসের। ঘরের মাঠ এম চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব কিংসের কাছে ৪ উইকেটে হেরে এবারের আসর থেকে ছিটকে গেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর শুধু চেন্নাইয়ের বিদায়ই নয়, আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন—এটাই কি তার শেষ আইপিএল?

ম্যাচ শুরুর আগেই টসের সময় ধোনিকে ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। ধারাভাষ্যকার ড্যানি মরিসনের সরাসরি প্রশ্ন ছিল, ধোনি কি আগামী মৌসুমেও আইপিএলে দেখা যাবে? জবাবে হেসে ধোনি বলেন, ‘আমি তো জানি না পরের ম্যাচেই খেলব কি না।’ এই মন্তব্যেই ধোনির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা। যদিও ম্যাচ শেষে নিজের ক্রিকেট ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি ধোনি। তাকেও সে ব্যাপারে আর প্রশ্ন করেননি সঞ্চালক।

ধোনির মন্তব্যে সাবেক অস্ট্রেলিয়ান উইকেটকিপার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বলেন, ‘ধোনি একজন চিরস্মরণীয় কিংবদন্তি। তার আর কিছু প্রমাণের নেই। সম্ভবত এবার সরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। যদিও ভক্তদের জন্য তা কষ্টদায়ক হবে।’

 চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রান তোলে। স্যাম কারানের ৮৮ রানের ইনিংস ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। শেষ দিকে যুজবেন্দ্র চাহালের হ্যাটট্রিকে মাত্র ৪ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইনিংস। চাহাল ৪ উইকেট নেন, জানসেন ও আর্শদীপ নেন ২টি করে।

জবাবে পাঞ্জাবের হয়ে ঝড়ো সূচনা এনে দেন প্রিয়াংশ আর্য ও প্রভসিমরান সিং। প্রভসিমরান খেলেন ৩৬ বলে ৫৪ রানের দারুণ ইনিংস। এরপর শ্রেয়াস আইয়ারের ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস এবং শশাঙ্ক সিংয়ের শেষের ২৩ রানের ক্যামিওতে দুই বল বাকি থাকতেই জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। এই জয়ে তারা উঠে এসেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ