২১ দিনে অভ্যাস গড়ে ওঠা নিয়ে গবেষণা করেছেন ইউনিভার্সিটি অব সাউথ অস্ট্রেলিয়ার গবেষকেরা। বিভিন্ন বয়সের ২ হাজার ৬০০ মানুষের ওপর আলাদা আলাদা ২০টি গবেষণা চালিয়েছেন তাঁরা। খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছেন, কীভাবে একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে ওঠে। সেখানেই দেখে গেছে, স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তোলার জন্য ২১ দিন অনেক কম সময়। মানুষ ও কাজভেদে সময়টা লাগতে পারে অনেক বেশি।

অভ্যাস চাইলেই যে গড়ে ওঠে, ব্যাপারটা এমন নয়। বরং অভ্যাস গড়ে ওঠার পেছনে বেশ কয়েকটি বিষয় ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। বিশেষ করে অভ্যাসের সময়, কতটুকু শক্তি প্রয়োজন হচ্ছে, কতটা মনোযোগ দিয়ে কাজ করছেন—সবই প্রতিদিনের কাজ অভ্যাসে পরিণত হওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রাখে। ধরুন, সকালে হাঁটতে যাওয়া। বয়োজেষ্ঠ্য কেউ এক-দুই সপ্তাহ নিয়মিত সকালে হাঁটতে গেলে তিনি এটি অভ্যাসে পরিণত করে ফেলবেন। কিন্তু উঠতি বয়সী কিশোর-তরুণদের জন্য ব্যাপারটি তুলনামূলক কঠিন। সময়, পারিপার্শ্বিকতা এবং কাজের জন্য শরীরে কতটুকু শক্তি আছে—সবই বড় ভূমিকা পালন করে অভ্যাস গড়ে তোলার পেছনে।

আরও পড়ুনমেয়েদের যেসব অভ্যাস ছেলেরাও রপ্ত করতে পারেন২৮ জানুয়ারি ২০২৫পরিবেশ ও কনটেক্সট বা পূর্বাপর সম্বন্ধ বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শনি গ্রহের একাধিক চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের সন্ধান

জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে শনি গ্রহের আটটি মাঝারি আকারের চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড শনাক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার বিজ্ঞানীরা। বর্তমানে মিমাস, এনসেলাডাস, ডায়োন, টেথিস, রিয়া, হাইপেরিয়ন, লাপেটাস ও ফিবি নামের চাঁদগুলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্যের পরিবর্তনের তথ্য টেলিস্কোপের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হচ্ছে। তথ্য বিশ্লেষণ করার পাশাপাশি চাঁদগুলোর ওপরে নিয়মিত নজরও রাখছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, ডায়োন ও রিয়া চাঁদে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড শনির প্রধান বলয়ের বরফের অনুরূপ। ফিবি চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইড জৈব পদার্থের বিকিরণের মাধ্যমে উৎপন্ন হয়ে থাকে। লাপেটাস ও হাইপেরিয়নের অন্ধকার অঞ্চলে কার্বন ডাই–অক্সাইড দেখা যায়। বরফযুক্ত এসব চাঁদে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে আগ্রহী বিজ্ঞানীরা।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী মাইকেল ব্রাউন ও তাঁর সহকর্মীরা এক গবেষণাপত্রে লিখেছেন, কঠিন কার্বন ডাই–অক্সাইড সৌরজগতের প্রান্তসীমার বিভিন্ন জায়গায় দেখা যায়। যদিও সেই অবস্থানে কার্বন ডাই–অক্সাইড স্থিতিশীল নয়। আমরা শনির উপগ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইডের অবস্থান জানার মাধ্যমে ভিন্ন পরিবেশ বোঝার চেষ্টা করছি। বিভিন্ন গ্রহে কার্বন ডাই–অক্সাইড কীভাবে আটকে আছে, তা জানার সুযোগ আছে এখানে।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শনির চাঁদে আটকে থাকা কার্বন ডাই–অক্সাইড থেকে আদর্শ ল্যাবের মতো তথ্য পাওয়া যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, শনি গ্রহের বিভিন্ন চাঁদে কমপক্ষে দুটি পৃথক উৎস থেকে কার্বন ডাই–অক্সাইড তৈরি হয়েছে।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত নিবন্ধ