কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বাড়তি ভাড়া চাওয়ার প্রতিবাদ করায় এক দর্শনার্থীকে মারধর করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত কুঠিবাড়ি-সংলগ্ন কাছারিবাড়ি এলাকার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই দর্শনার্থীর দাবি, অটোচালকেরা তাঁকে মারধর করেছেন।

মারধরের শিকার দর্শনার্থীর নাম আনোয়ার হোসেন মাসুম (৪৪)। তিনি ঝিনাইদহ সদরের আদর্শপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ঝিনাইদহ প্রথম আলো বন্ধুসভার উপদেষ্টা। তিনি শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নেন। আজ দুপুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়ে তাঁকে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। এ সময় তাঁর পাশে ছিলেন সফরসঙ্গী অন্য দর্শনার্থীরা।

আহত আনোয়ার হোসেন বলেন, কাছারিবাড়ি থেকে কুঠিবাড়িতে যাওয়ার জন্য ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা দাবি করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। এ নিয়ে চালকদের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয়। পরে ২০ টাকা মিটিয়ে একটি ভ্যানে উঠে কুঠিবাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কাছারিবাড়ি মোড়ে কয়েকটি ব্যাটারিচালিত ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা এসে তাঁদের পথরোধ করে। পরে অটোচালকেরা কাঠের লাঠি দিয়ে তাঁকে মারধর করেন। চালকদের সিন্ডিকেটের কারণে দর্শনার্থীরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করবেন।

ঝিনাইদহ প্রথম আলো বন্ধুসভার আরেক উপদেষ্টা সাকিব মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, প্রথম আলো ঝিনাইদহ বন্ধুসভার ৪৫ জন সদস্য ঘুরতে আসেন। কাছারিবাড়ি থেকে কুঠিবাড়িতে যাওয়ার পথে বাড়তি ভাড়ার প্রতিবাদ করায় অটোচালকেরা হামলা করেন। এ সময় আনোয়ার হোসেন আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়।

স্থানীয় কয়েকজন জানান, ভাড়া নিয়ে অটোচালকদের সঙ্গে দর্শনার্থীদের প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। পরে চালকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালান। ইজিবাইকচালক ইমরান, ইমান আলীসহ কয়েকজন এই হামলায় জড়িত। ঘটনার পর থেকে তাঁরা পলাতক।

রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো.

আল আমিন বলেন, হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, অতিরিক্ত ভাড়া চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক দর্শনার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ প রথম ম রধর

এছাড়াও পড়ুন:

নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।

টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।

বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।

আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।

সম্পর্কিত নিবন্ধ