পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নাশকতা মামলার আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একজন উপপরিদর্শকসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে। পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা পুলিশ সদস্যরা হলেন– ইন্দুরকানী থানার উপপরিদর্শক পলাশ সাহা, সহ-উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন, রুহুল আমিন, কনস্টেবল মো. মামুন ও মো. রেজাউল।  বুধবার রাতে পিরোজপুর পুলিশ লাইন্সে ক্লোজ করা হয়েছে। 

সোমবার ইন্দুরকানী থানা পুলিশ ঢেপসাবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশের ওপর হামলা করে আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল খানকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। এ ঘটনায় পুলিশের কাজে বাধার অভিযোগে অভিযুক্ত ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। 

ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন জানান, হেলাল খান নাশকতা মামলার আসামি। খবর পেয়ে তাকে গ্রেপ্তার করলে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশের ওপর হামলা করে তিনি পালিয়ে যান। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ নত ই

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের

প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিপিবির ১৩তম কংগ্রেস ১৯-২২ সেপ্টেম্বর, ঠিক হবে ‘রণকৌশল’
  • দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের