চলে গেলেন জনপ্রিয় ভারতীয় অভিনেতা উত্তম মহান্তি
Published: 28th, February 2025 GMT
ওড়িয়া সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তম মহান্তি মারা গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, গতকাল রাতে দিল্লির গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দীর্ঘদিন ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। সম্প্রতি লিভারের গুরুতর অসুখ ধরা পড়েছিল অভিনেতার। দিল্লিতে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে।
চলতি মাসের শুরুতে প্রথমে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে ভেন্টিলেশনে ছিলেন তিনি। অবস্থার আরও অবনতি ঘটায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে।
১৯৫৮ সালে বারিপদায় জন্ম বহু সফল ছবির নায়ক উত্তমের। ১৯৭৭ সালে সাধু মেহের পরিচালিত ‘অভিমান’ ছবি দিয়ে ওড়িয়া বিনোদন দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ তাঁর।
আরও পড়ুনস্ত্রীসহ অস্কারজয়ী অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের মরদেহ উদ্ধার২১ ঘণ্টা আগেপ্রথম ছবিতেই দর্শকের নজর কাড়ায় আর তাঁকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তার ‘চকলেট বয়’ ইমেজ দর্শককে মুগ্ধ করেছিল।
অভিনেতার ঝুলিতে রয়েছে ‘নিঝুম রাতি রা সাথি’, ‘চিনহা অচিন’, ‘রামায়ণ’, ‘তপস্যা’, ‘রাম বলরাম’, ‘পালটক’, ‘অভিলাষা’, ‘দন্ড বালুঙ্গা’, ‘পূজা ফুল’, ‘জাগা হাতরে পাগা’, ‘মুতালাগা’, ‘সাহারি বাঘাগে’, রাহেনা, ‘চাকা ভাউনারি’, ‘জোর জাহারা মুলক তাহারা’, ‘তুন্ডা বাইদা’, ‘সুনা চাদেই’, ‘পুয়া মোরা কালা ঠাকুর’, ‘কন্যাদান’, ‘চাকা আঁখি সব দেখেছি’, ‘রজনীগন্ধা’র মতো সফল ছবি। তাঁর সঙ্গে টালিউড অভিনেত্রী ও সংসদ সদস্য রচনা ব্যানার্জি একসময় জুটি বেঁধে একাধিক জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছিলেন। পাশাপাশি অভিনেত্রী ও স্ত্রী অপরাজিতার সঙ্গেও উত্তমের জুটি দর্শকের প্রিয় ছিল।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা বিভিন্ন দলের
ইরানে ইসরায়েলের হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিভিন্ন দল। অবিলম্বে এই হামলা ও গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে এ বিষয়ে দুনিয়ার শান্তিকামী দেশ ও বিশ্ববাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে তারা। গতকাল রোববার পৃথক বিবৃতিতে এসব দলের নেতারা এই দাবি জানান। তারা ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ঘোষণা এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-ইহুদিবাদী ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ ও ইরানের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহমুদুল হাসান মানিক ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুর আহমদ বকুল এক বিবৃতিতে বলেন, বর্তমান সময়ের সাম্রাজ্যবাদী শক্তি ও তার নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘস্থায়ী সংকট সৃষ্টি করে রেখেছে। একতরফা যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ে ইরানের রাজনৈতিক সামরিক অগ্রযাত্রাকে রুখতে চেষ্টা করছে। যুদ্ধবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলকে এখনই থামতে হবে। অন্যায়ভাবে ইরানের শিশু-নারী ও সাধারণ নাগরিকদের ওপর বোমা ও মিসাইল হামলা বন্ধ করতে হবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক পৃথক বিবৃতিতে বলেন, ইরানের পরমাণু স্থাপনাসহ গুরুত্বপূর্ণ সামরিক অঞ্চল লক্ষ্য করে ইসরায়েলের বেপরোয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা রাষ্ট্রীয় ভয়ানক সন্ত্রাসী তৎপরতা। পরিকল্পিত এই হামলা আন্তর্জাতিক সব ধরনের বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর শামিল। জাতিসংঘকেও এরা পুরোপুরি ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত করেছে।