ভৈরবে ছিনতাই-সন্ত্রাস প্রতিরোধে প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিলেন শিক্ষার্থীরা
Published: 28th, February 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ধর্ষণ, ছিনতাই, সন্ত্রাস প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীর’ ব্যানারে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বরে এক বিক্ষোভ কর্মসূচিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে না পড়লে প্রশাসনের বিভিন্ন কার্যালয় ও ভৈরব বাসস্ট্যান্ড ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।
কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ভৈরববাসীর মনের শান্তি কেড়ে নিয়েছে ছিনতাই। সব আলোচনা ছাপিয়ে ছিনতাই ও ধর্ষণ ভৈরববাসীর মূল আলোচনায়। এ ক্ষেত্রে প্রশাসনের ব্যর্থতা স্পষ্ট। এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। কর্মসূচি থেকে ছিনতাই প্রতিরোধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এতে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম, তাহসান আহমেদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সামি, নূর মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম, সাইফুর রহমান প্রমুখ।
ভৈরবে দিন দিন ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। তাঁরা ছুরিকাঘাতে পথচারীদের জখমও করছে। এতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। এমন ভীতিকর পরিবেশ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় বাসিন্দারা সামাজিক আন্দোলনে নেমেছেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা পৃথক কর্মসূচি দিয়ে লাগাতার আন্দোলন চলমান রেখেছেন। এর আগে গত বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে একই ইস্যুতে ভৈরবে মশালমিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য ‘দুর্জয় ভৈরব’ চত্বর থেকে বের হয়ে পৌর শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। মিছিল থেকে ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। স্লোগান হয় সারা দেশে নারী ও শিশুদের ওপর সহিংসতা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে। স্লোগান ওঠে এসব অপরাধ প্রতিরোধে পুলিশের প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়েও।
আন্দোলনকারীরা জানায়, ভৈরব বাণিজ্য শহর ও নদীবন্দর। এ কারণে বিশেষ করে শহরের সড়কে গভীর রাত পর্যন্ত মানুষের যাতায়াত থাকে। সুযোগটি কাজে লাগায় ছিনতাইকারীরা। ভৈরবে অন্তত ১০টি পয়েন্টে এখন নিয়মিত ছিনতাই হয়। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধু সরণি সড়কের নদী বাংলা সেন্টার পয়েন্ট, রেলওয়ে স্টেশন সড়ক, সুইপার কলোনী সড়ক, নাটাল মোড়, গাছতলাঘাট, হাজী আসমত কলেজ সড়ক ও স্টেডিয়াম সড়কে প্রতিনিয়ত ছিনতাই হচ্ছে। শহরে এখন একাধিক শক্তিশালী ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় আছে। চক্রের সঙ্গে পরোক্ষভাবে প্রভাবশালী মহলের কারও কারও সম্পর্ক রয়েছে। পুলিশেরও হাত থাকতে পারে বলে ধারণা হয়।
কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক শরিফুল হক কর্মসূচির নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের একজন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দাবি ভৈরবকে ছিনতাইমুক্ত করা আর সারা দেশের ধর্ষণকারীদের ধরে আইনের মুখোমুখি করা। অভিযুক্তরা যেন দ্রুত জামিন না পান, সেই বিষয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকা।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শবনম শারমিন বলেন, ‘ভৈরবের ছিনতাই প্রতিরোধে প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে ভৈরব ছিনতাইমুক্ত হবে।’
একই কথা জানিয়েছেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। তিনি বলেন, ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন দিনরাত কাজ করছে এবং প্রতিদিন ছিনতাইকারী ধরা হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের শীর্ষ ১০ আইকনিক ফুটবল স্টেডিয়াম
১সিগনাল ইদুনা পার্ক | ডর্টমুন্ড, জার্মানি সিগনাল ইদুনা পার্ক