চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু আজ, জেনে নিন শাটলের সূচি
Published: 1st, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (১ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে। প্রথম দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টায় শুরু হয়ে বেলা ১টায় শেষ হবে পরীক্ষা। পরীক্ষাকে সামনে রেখে শাটল ট্রেনের সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে।
এ দিকে চারটি ইউনিট ও তিনটি উপ-ইউনিট মিলিয়ে এবার পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ জন শিক্ষার্থী। এ ইউনিটের পরীক্ষার পর ৮ মার্চ বি ইউনিট, ১৫ মার্চ সি ইউনিট ও ২২ মার্চ ডি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। অন্যদিকে ১০ মার্চ বি-১ ও ১১ মার্চ বি-২ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে। আর ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা হবে ২৪ মার্চ।
আরও পড়ুনবুয়েটের ফল প্রকাশ, শিক্ষার্থীদের ভর্তিপ্রক্রিয়া তিন ধাপে২ ঘণ্টা আগেযে সূচিতে চলবে শাটলনতুন সময়সূচি অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার চার দিন ট্রেন চট্টগ্রাম নগরের বটতলী থেকে সকাল ৭টা, সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৯টা, ১০টা, বেলা ২টা ৫০ মিনিট, বেলা ৩টা ৫০ মিনিট ও রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিট, ৮টা ৪৫ মিনিট, বেলা ১টা ৩০ মিনিট, ২টা ৩০ মিনিট, বিকেল ৪টা, সাড়ে ৫টা ও রাত সাড়ে ৯টায় নগরের বটতলীর উদ্দেশে ট্রেন ছেড়ে যাবে।
আরও পড়ুনচায়নিজ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ, প্রয়োজন নেই আইইএলটিএস২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫নম্বর বন্টনপ্রতি সংশ্লিষ্ট ইউনিট/উপ-ইউনিটে ১০০ নম্বরের এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষায় (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ট র পর ক ষ পর ক ষ য়
এছাড়াও পড়ুন:
শ্রম আইনের সংশোধন কবে হবে, তা বলছে না শ্রম মন্ত্রণালয়
শ্রম আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ কবে হবে, সে বিষয়ে আর সময়সীমার কথা বলছে না শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। গত নভেম্বর মাসে এই মন্ত্রণালয় বলেছিল, ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে এ অধ্যাদেশ হবে। মার্চ শেষে এপ্রিলও শেষ হচ্ছে আজ বুধবার।
সচিবালয়ে আজ ‘মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, আইন সংশোধনীর ক্ষেত্রে সময়সীমা থাকার পক্ষে নন তিনি। শ্রমিক–মালিকদের স্বার্থ রক্ষাসহ শিগগিরই তা করা হবে। বিষয়টি এখন কোন প্রক্রিয়ায় আছে, তা বলতে রাজি হননি শ্রম উপদেষ্টা।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ‘শ্রমিক-মালিক এক হয়ে, গড়ব এ দেশ নতুন করে’। তিনি আরও বলেন, ‘একসময় স্লোগান ছিল দুনিয়ার মজদুর, এক হও।’ এখন তা বদলে গেছে। এখন হবে ‘দুনিয়ার মালিক-শ্রমিক, এক হও’। এখন ভালো মালিকেরা শ্রমিকদের সন্তানের মতো মনে করেন।
প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে ১০১টি ধারা ও উপধারা সংশোধন হবে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ১০ থেকে ২০ মার্চ অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গভর্নিং বডির বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আইএলওর বৈঠকে যোগ দিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে যে দলটি জেনেভা সফর করে, সেখানে শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবীর, যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ হোসেন সরকার ও শ্রম উপদেষ্টার একান্ত সচিব মো. জাহিদুল ইসলাম ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ১০ নভেম্বর তৎকালীন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান আইএলওর গভর্নিং বডির বৈঠক থেকে দেশে ফিরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মার্চের মধ্যে শ্রম আইন সংশোধন হবে। উপদেষ্টা তখন এ–ও বলেছিলেন, আগের সরকারের আইনমন্ত্রীর (আনিসুল হক) নেতৃত্বাধীন দলকে আইএলও পর্ষদে অপদস্থ করা হয়েছিল। অথচ এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। বাংলাদেশের পদক্ষেপগুলো নিয়ে বরং প্রশংসা করা হয়েছে। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলো তুলে নেওয়ার কথাও বলেছিল।
জানা গেছে, শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে ঘাটতির অভিযোগ এনে জাপানসহ ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে আইএলওতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলাগুলো চলমান।
আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে ৭ কোটি ৬৫ লাখ শ্রমিক রয়েছে। এদিকে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদকে (টিসিসি) শ্রমিকপক্ষ জানিয়েছে, আইন সংশোধনের সময় সব শ্রমিকের কথা মাথায় না রেখে প্রধানত পোশাক খাতের শ্রমিকদের কথা বিবেচনা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মে দিবস আর জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস উপলক্ষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীতে শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ–স্কুল পর্যায়ে রচনা ও প্রবন্ধ লেখার ওপরে বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
এ ছাড়া শ্রম অধিকার বিষয়ে প্রকাশিত বা প্রচারিত মানসম্মত সংবাদ বা স্থিরচিত্র যাচাই করে সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহকদের দেওয়া হবে পুরস্কার।