মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু
Published: 1st, March 2025 GMT
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে মির্জাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করা পুলিশ। তবে নিহত ওই যুবকের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।
মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশনমাস্টার কামরুল হাসান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এক যুবক স্টেশনে আসে ট্রেনের খোঁজ নিতে। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে একজন কলেজছাত্র। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে বাসে উঠে। বাসে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়ে তার সবকিছু নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টি। রাতে বাস থেকে মির্জাপুরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সকালে স্টেশনের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার কথা শুনি। কাছে গিয়ে দেখি, রাতে কথা বলা সেই কালেজছাত্রের লাশ। পরে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়। তবে কোন ট্রেনে কাটা পড়েছে তা জানি না। আজ ভোরের দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর স্টেশন পার হয়। সেই ট্রেনে কাটা পড়তে পারে বলে তিনি জানান।
টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মির্জাপুর থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেম ছিল না তবু কেন মধুবালাকে বিয়ে করেছিলেন কিশোর কুমার
দিলীপ কুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের কিছুদিন পরই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী মধুবালা। তবে তখন তিনি ছিলেন অসুস্থ। কিশোর কুমার জানিয়েছিলেন, ভালোবাসা থেকে নয়, বরং কথা রাখতেই তিনি এ বিয়ে করেছিলেন।
মধুবালা ও দিলীপ কুমারের প্রেম নিয়ে একসময় মুখর ছিল মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু অভিনেত্রীর বাবার বাধার কারণে সে সম্পর্কে ফাটল ধরে এবং দুজনের বিচ্ছেদ ঘটে। কিছুদিন পরেই কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন মধুবালা। তাঁদের এই বিয়ে অনেককে চমকে দিয়েছিল। কারণ, তাঁদের প্রেমের কথা তখনো গোপন ছিল। তবে মধুবালার শরীর তখন ভালো যাচ্ছিল না। বলা হয়, দীর্ঘ রোগভোগের সময় কিশোর কুমার তাঁকে মায়ের বাড়িতে রেখেই চলে যান।
দ্য ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, ‘বিয়ের আগেই জানতাম, ও খুব অসুস্থ। কিন্তু কথা তো দিয়েছিলাম। তাই সে কথা রেখেই ওকে ঘরে এনেছিলাম স্ত্রী হিসেবে। জানতাম, ওর জন্মগত হৃদ্রোগ আছে। তবু ৯ বছর ধরে সেবা করেছি। চোখের সামনেই ওকে মরতে দেখেছি। কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা, না ভুগলে। ও অসম্ভব সুন্দরী ছিল। আর কত যন্ত্রণায় মারা গেছে, সেটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস হবে না। হতাশায় চিৎকার করত, কান্নাকাটি করত। এত প্রাণোচ্ছল মানুষ নয়টা বছর বিছানায় শুয়ে থাকবে—এ কল্পনাই করা যায় না। ডাক্তার বলেছিল, ওকে হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি তা–ই করেছি—ওর শেষনিশ্বাস পর্যন্ত। কখনো হেসেছি, কখনো কেঁদেছি ওর সঙ্গে।’
তবে কিশোর কুমারের এই বক্তব্য নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। কারণ, পরে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে একেবারে ভিন্ন কথা বলেন তিনি। সেই সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেন, ‘মধুবালার সঙ্গে আমি প্রেমে পড়িনি কখনো। বরং ওর প্রেমিক ছিল আমার বন্ধু দিলীপ কুমার। আমি তো শুধু ওদের বার্তা পৌঁছে দিতাম। বিয়ের প্রস্তাবটা দিয়েছিল মধুবালাই। এমনকি, যখন আমার প্রথম স্ত্রী রুমা তখনো আমার সঙ্গে ছিল, তখনো মধু বলত, “ওকে কখনো ছেড়ো না, না হলে আমি তোমার হয়ে যাব।”’
আরও পড়ুনকিশোর কুমার কি সত্যিই ঘরে কঙ্কাল আর মাথার খুলি নিয়ে ঘুমাতেন২৭ মে ২০২৫মধুবালার পরিবারের ভাষ্য অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তখন বলেছিলেন, অভিনেত্রীর পক্ষে শারীরিক সম্পর্ক কিংবা সন্তানধারণ কোনো কিছুই সম্ভব নয়। সেই বাস্তবতা হয়তো প্রভাব ফেলেছিল কিশোরের সিদ্ধান্তে। এক ঘনিষ্ঠজন বলেন, ‘আমরা বলছি না কিশোরদা ভুল করেছিলেন। ডাক্তার তো স্পষ্ট বলেছিল—শারীরিক সম্পর্ক বা সন্তান কোনোটাই সম্ভব নয়। তবে একজন নারীর তো মানসিক সঙ্গীও দরকার হয়।’
ওই ঘনিষ্ঠজন আরও জানান, কিশোর কুমার তিন মাসে একবার আসতেন মাত্র। বলতেন, ‘আমি এলে তুমি কাঁদবে, আর এতে তোমার হৃদ্যন্ত্রের ক্ষতি হবে। তুমি বিষণ্ন হয়ে পড়বে।’ সে সময় মধু অনেক ছোট ছিলেন, ঈর্ষাও ছিল স্বাভাবিক। হয়তো এ দূরত্বই ধীরে ধীরে তাঁকে শেষ করে দিয়েছিল।
১৯৬৯ সালে মাত্র ৩৬ বছর বয়সে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বলিউড অভিনেত্রী মধুবালা