টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে মির্জাপুর রেলস্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ শনিবার সকালে লাশটি উদ্ধার করা পুলিশ। তবে নিহত ওই যুবকের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি।

মির্জাপুর ট্রেন স্টেশনের স্টেশনমাস্টার কামরুল হাসান জানান, রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে এক যুবক স্টেশনে আসে ট্রেনের খোঁজ নিতে। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সে একজন কলেজছাত্র। ঢাকা থেকে টাঙ্গাইলের উদ্দেশে বাসে উঠে। বাসে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়ে তার সবকিছু নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টি। রাতে বাস থেকে মির্জাপুরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। সকালে স্টেশনের কাছে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যাওয়ার কথা শুনি। কাছে গিয়ে দেখি, রাতে কথা বলা সেই কালেজছাত্রের লাশ। পরে টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ এসে লাশটি নিয়ে যায়। তবে কোন ট্রেনে কাটা পড়েছে তা জানি না। আজ ভোরের দিকে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি মির্জাপুর স্টেশন পার হয়। সেই ট্রেনে কাটা পড়তে পারে বলে তিনি জানান।

টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, মির্জাপুর থেকে উদ্ধার করা লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ