চুরির পর গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেল চোর
Published: 2nd, March 2025 GMT
রাতের আঁধারে গোয়ালঘর থেকে তিনটি গরু চুরি করে জবাই করে নিয়ে গেল একদল চোর। গরু চুরি করে জবাই করে মাংস নিয়ে গেলেও কেউ টের পায়নি। এরকম ঘটনা ঘটেছে টাঙ্গাইলের বাসাইল পৌর শহরের পশ্চিম পাড়া এলাকায়।
শনিবার (১ মার্চ) রাতে ১টার দিকে বাসাইল পৌরসভার কাটাখালী পাড়া এলাকা থেকে তিনটি গরু চুরি করে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে চোরেরা গরুগুলো জবাই করে মাংস নিয়ে যায়।
গরুর মালিক রুবেল খান বলেন, “গতকাল শনিবার ৯০ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনে বাড়িতে নিয়ে আসি। রাত ১২টার সময় গরু দেখে শুয়ে পড়ি। সেহেরির সময় আমার ভাই গোয়াল ঘরে গিয়ে দেখে গরু নাই। তখন আশপাশে গরু খুঁজতে থাকি। সকালে জমির আইল দিয়ে গরুর পায়ের দাগ দেখে ঘটনাস্থল পৌঁছাই। সেখানে তিনটি জবাইয়ের সমস্ত আলামত দেখা যায়। আমার একটি ষাঁড় গরু ছাড়াও আরও দুইজনের একটি করে দুটি গাভি চুরি হয়েছে। তিনটি গরুর আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা হবে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।”
গরুর মালিক ফজলু খান বলেন, “শখ করে দুই মাস আগে গাভীটি কিনেছিলাম। গাভীটি ৫ মাসের গর্ভবর্তী ছিল। ৫০ হাজার টাকা দিয়ে গাভীটি কিনেছিলাম। এখন আনুমানিক এক লাখ টাকা হবে। রাত ১২টা পর্যন্ত গরু গোয়াল ঘরেই ছিল। পাশের বাড়িতেই গরুর চুরি হয়েছে শুনতে পাই। তারপর আমাদের গোয়াল ঘরে দরজার তালা কাটা ও গরুর সাথে শিকল কাটা দেখতে পাই। গরুটিও ছিল না। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে বাসাইল পশ্চিম পাড়া কবরস্থানের পাশে গিয়ে দেখতে পাই গরু জবাই করে মাংস নিয়ে গেছে চোরেরা।”
বাসাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দিন জানান, গরু চুরির ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঢাকা/কাওছার/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'
সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'
আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।
জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।
অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন। আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।
মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।