সিলেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার হওয়া মহানগর যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দ্বীপ চৌধুরী মাধবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার দেবকোনা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

জয়দ্বীপ চৌধুরী মাধব নগরীর দাঁড়িয়াপাড়ার অজিত চৌধুরীর ছেলে। মাধবসহ যুবদলের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গত কয়েক মাস ধরে ফুটপাতে বসা হকারদের কাছ থেকে চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার কাজল মিয়া নামের এক হকারকে জিন্দাবাজারের সিতারা ম্যানশনে তুলে নিয়ে যান যুবদল নেতা মাধব। সেখানে ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা নেন মাধব। এ সময় ওই হকারকে মারধরও করা হয়। পরে তার কাছে আরও ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে জিন্দাবাজার এলাকায় বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন হকাররা। খবর পেয়ে বিএনপি নেতারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং পরিস্থিতি শান্ত করেন। রাত ১২টার দিকে কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করা হয় যুবদল নেতা জয়দ্বীপ চৌধুরী মাধবকে। পরদিন চাঁদাবাজি ও অপহরণের ঘটনায় হকার কাজল মিয়া বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মাধবকে প্রধান আসামি ছাড়াও আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আজ রোববার পুলিশ সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে অভিযান চালিয়ে মাধবকে গ্রেপ্তার করে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: য বদল ন ত য বদল ম ধবক

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ