নারী-পুরুষ কেউ যেন প্রকাশ্যে ধূমপান না করে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 2nd, March 2025 GMT
নারী-পুরুষ সবাইকে প্রকাশ্যে ধূমপান না করার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুর পুলিশ লাইন পরিদর্শন শেষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ অনুরোধ করেন তিনি।
লালমাটিয়ায় দুই নারীর ওপর হামলার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি যতটুকু জেনেছি তারা সিগারেট খাচ্ছিলেন। কিছু লোক সেখান দিয়ে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। পাবলিক প্লেসে ধূমপান নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য অপরাধ। তাই সবাইকে অনুরোধ করব, কেউ যেন উন্মুক্ত স্থানে ধূমপান না করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, রোজার সময় সবাইকে একটু সংযমী হতে হবে। আর আমাদের ধর্ম উপদেষ্টা সবাইকে অনুরোধ করেছেন, রমজানে দিনের বেলায় বাইরে যেন কেউ খাবার না খায়। এটা করলে রোজাদারদের সম্মান করা হয়।
এ সময় তিনি ব্যবসায়ীদের প্রতি রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ানোরও অনুরোধ জানান।
উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে দেয়। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলোতেও রমজানে জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে রাখা হয়। আর আমাদের দেশে উল্টোটা হয়, রমজানের সময় ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়।
তিনি বলেন, আমি ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করব, তারা যেন এসময় জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায়। রমজানের সময় তারা যেন জিনিসপত্রের দাম যথাসম্ভব কম রাখে। এটি করতে পারলে, ভোক্তাদের সাশ্রয় হবে, তারা স্বস্তি পাবে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটা স্বীকার করতে হবে যে এবার জিনিসপত্রের দাম গতবারের চেয়ে কম। আর অভিযান না চালিয়েও যদি জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সেটা তো আরও ভালো।
এর আগে পুলিশ লাইনে পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টের ব্যারাক পরিদর্শন করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ন সপত র র দ ম রমজ ন র সময়
এছাড়াও পড়ুন:
অমর একুশে বইমেলা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক
অমর একুশে বইমেলা বাংলাদেশের মানুষের প্রাণের মেলা। মূলত প্রকাশকদের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধ উত্তর বাংলাদেশে এই বইমেলার সূত্রপাত। সম্প্রতি এই বইমেলা নানা কারণে-অকারণে ডিসেম্বরে করার কথা শোনা যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সুস্পষ্টভাবে বলতেই হচ্ছে -ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলা করা যাবে না। কারণ সেসময় সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা চলবে।
বইমেলার প্রধান পাঠক আমাদের শিক্ষার্থী। তারা ডিসেম্বরে কিছুতেই মেলায় আসতে পারবে না। প্রধান পাঠকই যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে মেলা প্রাণহীন হয়ে পড়বে। বইমেলায় অংশগ্রহণকারি প্রকাশকরাও ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। তাছাড়া একুশের চেতনাকে ধারণ করে যে অমর একুশে বইমেলা, সেটা ফেব্রুয়ারিকে স্পর্শ করুক। ভাষা শহীদদরর প্রতি বইমেলার মাধ্যমে আমাদের যে শ্রদ্ধাঞ্জলি, তা অক্ষুন্ন থাকুক।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বইপড়ায় কৃতিত্বের পুরস্কার পেল ২৩০৩ শিক্ষার্থী
‘গল্পকারের পছন্দের ৫০ গল্প’ গ্রন্থ প্রকাশিত
সর্বোপরি ৫ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, এই সময়ে বইমেলা হতে কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয়। অথবা তারিখ দুই একদিন এদিক-সেদিক করে নেয়া যেতে পারে। এ সময়ে রোজা নেই, নির্বাচনও নেই। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন চলবে। এই মাঠে বইমেলা চলাকালীন সর্বদলীয় সিদ্ধান্তে কেউ সভা-সমাবেশ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অনায়াসে এই সময়টাতে বইমেলা করা যেতে পারে। আমার বিশ্বাস- সব দলই অমর একুশে বইমেলার জন্য এই ছাড়টুকু দেবেন।
প্রায় পঞ্চাশ বছরের অধিক সময়ের প্রচেষ্টায় অমর একুশে বইমেলা মহিরুহ হয়ে আমাদের কাছে আবির্ভূত, হঠকারি কোন সিদ্ধান্তে তা যেনো ধ্বংস হওয়ার উপক্রম না হয়। জেনে শুনে বাঙালির এতো বড় একটি সাংস্কৃতিক উৎসবকে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্থ না করে বরং তা যে কোন মূল্যে আমাদের রক্ষা করা উচিত।
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলায়ও হয়ে থাকে। এতে অমর একুশে বইমেলার ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে আমি তা মনে করি না। বইমেলার প্রধান পাঠক শিক্ষার্থী। তারা বইমেলায় আসার জন্য মুখিয়ে থাকে। বাণিজ্য মেলায় যাওয়ার লোকজন বেশির ভাগই আলাদা। তবে অনেকেই বইমেলা এবং বাণিজ্যমেলা দুটোতেই যান। এটা তারা ম্যানেজ করে নিতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস।
আমি বলেছি শুধুমাত্র মেলার মাঠ প্রাঙ্গনে সভা-সমাবেশ না করার মাধ্যমে যদি সর্বদলীয় একটা সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় তাহলে জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মিলিয়ে বইমেলা করা সম্ভব।আমার মনে হয়, বইমেলা চলাকালীন এই মাঠ কোন দলকে সভা-সমাবেশের জন্য সরকার বরাদ্দ না দিলে, অথবা বইমেলা চলাকালীন দলগুলো নিজের থেকেই এই মাঠের বরাদ্দ না চাইলে সমস্যা আর থাকে না।
লেখক: প্রকাশক পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লিমিটেড
ঢাকা/লিপি