রূপগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় বিসমিল্লাহ্ আড়তের দুই কর্মচারী আহতের ঘটনায় প্রতিবাদ সভা করেছে ভুক্তভোগী সহ আড়ৎ মালিক-ব্যবসায়ীরা। উপজেলার গাউসিয়া-সাওঘাট এলালায় বিসমিল্লাহ আড়তের কার্যালয়ে রবিবার এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন আহত আবদুল মতিন, মিরাজ, ব্যবসায়ী জীবণ চন্দ্র শীল প্রমুখ।

এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আমরা কোন সংঘাত চাই না। আড়ত মালিক সেলিম প্রধান ও ইজারাদার ডা.

মজিবুর রহমান এই দুজনের মাঝে দ্বন্দ্বের জেরে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে একটি মামলা চলমান রয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই দুর্বৃত্তরা এসে আড়তে হামলা চালিয়ে ব্যবসায়ী ও আড়তের লোকজনকে মারধর করে। 

গত রবিবার সকাল ১১টার দিকো আড়তের দোকানের ভাড়ার টাকা তুলতে গেলে আবদুল মতিন ও মিরাজ নামে ২ কর্মচারীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে দুর্বৃত্তরা। 

পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আমরা এসব সংঘাত চাই না। শান্তিপূর্ণ ভাবে ব্যবসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রধান উপদেষ্টার সুদৃষ্ট চান তারা।

হামলার বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ আড়ত র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ