স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বর থেকে সকালে টিসিবির পণ্য নিয়ে বাইসাইকেলে বাড়িতে ফিরছিলেন বৃদ্ধ আবদুল বাকী। পথে বাজারের ব্যস্ত মহাসড়ক পার হতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ড ভ্যান তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। মহাসড়কের ওপর ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পরে টিসিবির পণ্য। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল বাকী (৭০) উপজেলার সিংড়া ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ওমর ফারুককে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। তিনি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার সবুজ মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে পুলিশ ও স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, আজ সকালে সিংড়া ইউপি চত্বর থেকে টিসিবির পণ্য কিনে নিজের বাইসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন বাকী। পথে রানীগঞ্জ বাজারের মধ্য দিয়ে যাওয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঘোড়াঘাট থেকে দিনাজপুর অভিমুখী একটি দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যান তাঁকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ঘোড়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় আবদুল বাকী নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কাভার্ড ভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। বাকীর মরদেহ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের

নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। 

শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে। 

আরো পড়ুন:

জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল

সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।

মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের  নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”

মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”

লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/শরিফুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ