সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির ৮ম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
Published: 4th, March 2025 GMT
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির অষ্টম সমাবর্তন গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিগ্রি প্রদান করেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এই সমাবর্তনে বিভিন্ন বিভাগের মোট ১ হাজার ৯২২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চন্দ্রিমা চক্রবর্তী, ফার্মেসি বিভাগের আরিফুল করিম, বিবিএ বিভাগের রেমা রাণী পল, ফার্মেসি বিভাগের সুমাইয়া আক্তার ও ফার্মেসি বিভাগের হাবিবা খানম লুবনা তাঁদের স্নাতক ডিগ্রি ৪.
সর্বোচ্চ সিজিপিএ ভিত্তিতে নির্বাচিত বিভিন্ন বিভাগের ২৭ জন শিক্ষার্থীকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। সমাবর্তন সভাপতি মো. তৌহিদ হোসেন গ্র্যাজুয়েটদের হাতে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন, আর ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক প্রদান করেন। চন্দ্রিমা চক্রবর্তী সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম নৈতিক নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের কেবল বস্তুগত সাফল্যের বাইরে গিয়ে চিন্তাভাবনা করার আহ্বান জানান।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম এবং সহ–উপাচার্য অধ্যাপক এম মোফাজ্জল হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল মো. আনোয়ারুল ইসলাম (অব.)।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা০৩ মার্চ ২০২৫সমাবর্তনে সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সদস্যগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স উথইস ট ইউন ভ র স ট র অন ষ ঠ ন কর ন
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক