চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দ্বিতীয় অভিজ্ঞতম দল হয়েও বাংলাদেশের হতাশাজনক পারফরম্যান্স বিস্মিত করেছে পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিব জাভেদকে। টাইগারদের এমন অবনতিতে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে আশাবাদী পাকিস্তানের নতুন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক আগা সালমান। একই সঙ্গে সুযোগ পেলে বিপিএলেও খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বিশ্ব র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, যেখানে প্রতিটি জয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এবার টুর্নামেন্টে ভারতের পর সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল ছিল বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, মোস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের উপস্থিতি দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ পারফরম্যান্সের আশা দেখিয়েছিল।

তবে বাস্তবতা ভিন্ন। অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ দল। বিশেষ করে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর পারফরম্যান্স ভক্তদের হতাশ করেছে। এ নিয়ে পাকিস্তানের কোচ আকিব জাভেদ মন্তব্য করেছেন, ‘অভিজ্ঞতা কাজে না লাগাতে পারলে তার কোনো মূল্য নেই। ভারতের পর সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল ছিল বাংলাদেশ, কিন্তু তারা পারল না কেন? এটা বুঝতে পারছি না। বাংলাদেশ দল নিয়ে তাদের গভীরভাবে ভাবা উচিত। আমার মনে হয়, তারা অভিজ্ঞতার মূল্য দিতে গিয়ে পারফরম্যান্স হারাচ্ছে।’

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নেওয়ার পর পাকিস্তান এখন নিউজিল্যান্ড সফরের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে। তবে নতুন অধিনায়ক আগা সালমান আরও দূরদর্শী পরিকল্পনা করতে চান। তিনি জানিয়েছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অতীত। আমাদের সামনে এগোতে হবে। আমি আগামী এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশ লিমিটেড ওভারের ক্রিকেটে ভালো দল, তাই আসন্ন সিরিজে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ আশা করছি।’

এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে বিপিএল নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন আগা সালমান। সুযোগ পেলে তিনি এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলতে চান। আসন্ন সফরে বাংলাদেশ তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তানের বিপক্ষে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প রফরম য ন স কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়

অভাগাদের বছরে ‘কুফা’ কাটানোর তালিকায় সর্বশেষ নাম দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসে গতকাল অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে হারিয়ে টেস্টের রাজদণ্ড হাতে পেয়েছে টেম্বা বাভুমার দল। প্রোটিয়াদের শ্রেষ্ঠত্বের মধ্য দিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর শেষ হয়েছে।

তবে এর রেশ থাকতেই চলে এসেছে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর বা চক্র। ২০২৫-২৭ চক্রের শুরুটা হচ্ছে বাংলাদেশকে দিয়েই। আগামী ১৭ জুন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্ট খেলতে নামছে নাজমুল হোসেন দল। ২৫ জুন কলম্বোয় শুরু দুই দলের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রে এটিই প্রথম সিরিজ।

ক্রিকেটের অভিজাত এই সংস্করণে বাংলাদেশ প্রায় ২৫ বছর পার দিলেও রেকর্ড ভালো নয়। তবে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আসার পর থেকে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স ক্রমশ উন্নতির দিকে।

প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) কোনো ম্যাচই জিততে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ঐতিহাসিক জয় বাদ দিলে বলার মতো কিছু নেই। প্রথম দুই চক্র শেষ করতে হয়েছে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে।

তবে তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) বাংলাদেশের পারফরম্যান্স বেশ আশাব্যঞ্জক। ১২ টেস্ট খেলে জিতেছে চারটিতে। এর মধ্যে গত বছর পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে ধবলধোলাইয়ের সুখস্মৃতিও আছে। পয়েন্ট তালিকায় অবস্থান ছিল সাত নম্বরে; পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপরে। তিন চক্র মিলিয়ে বাংলাদেশ খেলেছে ৩১ টেস্ট। জিতেছে পাঁচটি, ড্র করে দুটি আর হেরেছে ২৪টি।

এবার কী হবে? শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগে মিরপুরের শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে আশার বাণীই শুনিয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল। তিনি বলেছেন, ‘গত চক্রে আমরা চারটা ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। লক্ষ্য থাকবে এই চক্রে কীভাবে আরও একটা-দুইটা ম্যাচ বেশি জিততে পারি।’ সেটা কতটুকু সম্ভব, সময়ই বলে দেবে।

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন চক্রের মতো এবারও অংশ নিচ্ছে ৯ দল। প্রত্যেক দল খেলবে ছয়টি করে সিরিজ—তিনটি নিজেদের মাঠে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। পয়েন্ট সিস্টেমেও কোনো পরিবর্তন আসেনি (জিতলে ১২, ড্র করলে ৪, টাই করলে ৬ পয়েন্ট)।

তবে এবার ম্যাচের সংখ্যা গত দুবারের চেয়ে একটি বেড়েছে। ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি, সিরিজ ২৭টি। প্রত্যেক সিরিজেই সর্বনিম্ন দুই ও সর্বোচ্চ পাঁচটি ম্যাচ হবে।

চতুর্থ চক্রের ফাইনালও লর্ডসে আয়োজনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই ম্যাচ হবে ২০২৭ সালের জুনে। ফাইনালের আগে শেষ সিরিজ হবে সেই বছরের মার্চে; পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ড।

এবার সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। সবচেয়ে কম ১২টি করে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা, যাদের সিরিজ দিয়েই শুরু হচ্ছে এবারের চক্র। ২০২৫ সালে বাংলাদেশ দলের টেস্ট সিরিজ এই একটিই। নাজমুল-মুশফিক-তাইজুলদের বাকি পাঁচ সিরিজই ২০২৬ ও ২০২৭ সালে। সব সিরিজেই দুটি করে ম্যাচ।

২০২৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম সিরিজ মার্চে, ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেই বছরের আগস্টে দল যাবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালের পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সেটিই হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের প্রথম টেস্ট সিরিজ।

এই চক্রে বাংলাদেশের ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সিরিজ খেলবে ২০২৬ সালের অক্টোবরে; খেলতে আসবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পরের মাসে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। বাংলাদেশের শেষ সিরিজ দেশের মাটিতেই; ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসবে ইংল্যান্ড। ২০১৬ সালের পর এটিই হবে ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সিরিজ।

অনুপ্রেরণা জোগানোর মতো খবর হলো ২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যে ছয় দলের বিপক্ষে খেলবে, এর চারটির বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজে তারা হারেনি। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ ড্র করেছে আর পাকিস্তানকে করেছে ধবলধোলাই (দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জয়)। সিরিজ হেরেছে শ্রীলঙ্কা আর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের
  • টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন আসরে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ কারা, খেলা কবে-কোথায়
  • ব্রাজিলে আলোকাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • ব্রাজিলে আলো কাড়া রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির
  • রিবেইরোয় চোখ আর্সেনাল-নাপোলির 
  • কোচ কাবরেরার পদত্যাগ দাবি, অনিশ্চয়তায় ভবিষ্যৎ