ছাত্র প্রতিনিধিকে ‘রাজাকারের ছেলে’ বলায় বিএনপি নেতার ছবিতে আগুন
Published: 5th, March 2025 GMT
টকশোতে এক ছাত্র প্রতিনিধিকে ‘রাজাকারের ছেলে’, ‘আল-বদরের ছেলে’ বলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগ করেছেন ছাত্র-জনতা। এ সময় তারা অবিলম্বে ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার দাবি করেন।
বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে ফজলুর রহমানের ছবিতে অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ ও মিত্র দলগুলোর নিষিদ্ধের দাবিতে ২১দিন ধরে গণঅবস্থানকারী ছাত্র-জনতা।
এর আগে, অনলাইন টক শো ‘ফেস দ্য পিপল’-এ ছাত্র প্রতিনিধি মিসবাহ উদ্দিনকে বিএনপি নেতা ফজুলর রহমান ‘রাজাকারের ছেলে’, ‘আল-বদরের ছেলে’ বলে সম্বোধন করেন। মঙ্গলবার রাতে এই টক শো’র ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নিন্দার ঝড় ওঠে।
এ সময় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সহকারী সদস্য সচিব গালীব ইহসান বলেন, “আজকে আমরা ফজলুর রহমানের ছবিতে আগুন জ্বালাচ্ছি। কারণ ৫ আগস্টের পরে আমরা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি, তিনি তা মানতে পারেননি। তিনি যেখানে সেখানে ছাত্রদের, বিপ্লবীদেরকে যা মন চায়, তা বলে কটাক্ষ করছেন। তিনি ফ্যাসিবাদের সুরে কথা বলছেন। সর্বশেষ একটি টকশোতে একজন ছাত্র প্রতিনিধিকে তিনি রাজাকারের বাচ্চা বলেছেন। শেখ হাসিনা এই রাজাকারের বাচ্চা বলে জুলাই গণহত্যা ঘটিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন।”
তিনি বলেন, “আমরা ফজলুর রহমানসহ সবাইকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, স্বাধীন বাংলাদেশে নতুন করে কোনো তরুণকে রাজাকারের সন্তান বললে তা বরদাস্ত করা হবে না। নব্য ফ্যাসিবাদীদের বাংলাদেশে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।”
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ অবিলম্বে বিএনপি নেতা ফজুলর রহমানকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, “একজন ছাত্রকে ‘রাজাকারের ছেলে’ বলায় ফজুলর রহমানকে সমগ্র ছাত্র সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।”
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ সদস্য সচিব ফজলুর রহমান বলেন, “ভারতে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনার প্রেতাত্মা ফজলুর রহমানের ঘাড়ে চেপেছে। তা না হলে ৫ আগস্টের পর আমাদের ছাত্র ভাইকে রাজাকারের ছেলে সম্বোধন করার দুঃসাহস তার হত না।”
এ প্রতিবাদী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, আব্দুস সালাম, কেন্দ্রীয় সদস্য তামিম আনোয়ার, ইসতিয়াক আহমদ ইফাত, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়ামিন সরকার, সহকারী সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য সচিব মুহিব মুশফিক খান, বাংলাদেশ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক মো.
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফজল র রহম ন র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করল পাকিস্তান-সৌদি আরব
পাকিস্তানের ওপর কেউ হামলা চালালে সৌদি আরব তাদেরকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। আবার সৌদি আরবের ওপর কেউ আগ্রাসন চালালে পাকিস্তানও সৌদি আরবকে রক্ষায় এগিয়ে আসবে। ঠিক এমনই একটি পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে সৌদি আরব ও পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান।
জিও নিউজের খবর অনুসারে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের সৌদি আরব সফরের সময় এই চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে শাহবাজের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ চুক্তির কথা জানানো হয়।
আরো পড়ুন:
এক সপ্তাহে সৌদি আরবে ২০ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
২০ বছর কোমায় থাকার পর মারা গেলেন সৌদির ‘ঘুমন্ত যুবরাজ’
চুক্তি স্বাক্ষরের পর উভয় দেশ একটি যৌথ বিবৃতিতে জানায় যে, ভ্রাতৃত্ব, ইসলামিক সংহতি ও অভিন্ন কৌশলগত স্বার্থের ভিত্তিতে এবং প্রায় আট দশকের দীর্ঘ অংশীদারত্বের ওপর দাঁড়িয়ে দুই পক্ষ কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ক্রাউন প্রিন্সের আমন্ত্রণেই শরিফ সৌদি আরব সফরে গেছেন বলেও তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, সৌদি আরবের সঙ্গে হওয়া এই প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে এখন ‘এক দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসনকে উভয়ের বিরুদ্ধে আগ্রাসন’ বিবেচনা করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা এই চুক্তিকে 'ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন অগ্রগতি' বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, এটি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ককে আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিতে উন্নীত করেছে। তারা বলছেন যে, এই পদক্ষেপ কেবল পাকিস্তান-সৌদি সম্পর্ককে দৃঢ় করছে না, বরং দক্ষিণ এশিয়া এবং মুসলিম বিশ্বের জন্যও এর গুরুত্ব রয়েছে। এটি পাকিস্তানকে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষার সবচেয়ে সক্ষম মুসলিম শক্তি হিসেবে তুলে ধরেছে।
বিশ্লেষকরা আরও বলছেন যে, সাম্প্রতিক আঞ্চলিক অস্থিরতা, ইসরায়েলের হামলা, দোহা সম্মেলন এবং আরব বিশ্বে সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে এই চুক্তির তাৎপর্য অনেক বেশি। এটি প্রমাণ করে যে, বর্ধিত হুমকির সময়ে সৌদি আরব পাকিস্তানকে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশীদার হিসেবে বিশ্বাস করছে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখানো হয়, চুক্তি স্বাক্ষরের পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে আলিঙ্গন করতে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির, যাকে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে দেখা হয়।
ঢাকা/ফিরোজ