বেসামরিক এলাকায় ভুলবশত বোমা ফেলল দ. কোরিয়ার যুদ্ধবিমান
Published: 6th, March 2025 GMT
দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি বেসামরিক এলাকায় যুদ্ধবিমান থেকে ভুলবশত আটটি বোমা ফেলার পর সাতজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে চারজনের অবস্থা গুরুতর। উত্তর কোরিয়ার সীমান্তবর্তী পোচিওন শহরে, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৪ মিনিটে, বিমান বাহিনীর কেএফ-১৬ বিমান থেকে বোমাগুলো পড়ে।
দেশটির বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমান প্রশিক্ষণ মহড়ার সময় ভুলবশত ভুল স্থানে আটটি বোমা ফেলা হয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
‘কমরেড’ পুতিনকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে যা বললেন কিম
পোচিওন কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে জানিয়েছে, আটটি বোমার মধ্যে কেবল একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল বাকি সাতটি অবিস্ফোরিত বোমা নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করার জন্য কাজ করছে। এলাকার কাছাকাছি বসবাসকারী বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমানবাহিনী জানিয়েছে, “আমাদের কেএফ-১৬ (জেট ফাইটার) ভুলবশত এমকে-৮২ বোমার ৮টি শেল ফেলেছে। এটি ফায়ারিং রেঞ্জের বাইরে পড়েছিল।”
বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তারা আরো জানিয়েছে, “এ ঘটনায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।”
আসান ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের একজন সামরিক বিশেষজ্ঞ এবং গবেষণা ফেলো ইয়াং উক বিবিসিকে বলেছেন, “পরিকল্পনার চেয়ে কম উচ্চতায় বোমা ফেলা হলে, বোমা বিস্ফোরিত নাও হতে পারে।”
ঘটনার ফলে একটি গির্জা ভবন এবং বেশ কয়েকটি ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবারের প্রশিক্ষণটি মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে একটি যৌথ মহড়ার অংশ ছিল। দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১০ মার্চ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত যৌথ মহড়া পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আরিফুলসহ সিলেট বিএনপির নেতাদের লন্ডন সফর, নানা আলোচনা
গত রোববার হঠাৎ লন্ডন সফরে যান সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা আলোচনা। শুধু আরিফুল নন, ইতোমধ্যে সিলেটের একাধিক নেতা প্রকাশ্যে বা গোপনে লন্ডন সফর করেন। শোনা যাচ্ছে, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাত করতেই তারা লন্ডন যাচ্ছেন।
সরকার পরিবর্তনের পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে লন্ডন যান। খালেদা জিয়ার সঙ্গে লন্ডনে যান উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী। তিনি যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। দেশে এসেও নিবার্চনী এলাকায় সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় করে চলেছেন।
সম্প্রতি লন্ডন থেকে দেশে ফিরে সিলেট-৪ আসনের বিভিন্ন এলাকায় প্রচারণা চালাচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জমান সেলিম। তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন বলে জানা যায়।
একই আসনে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম সম্প্রতি লন্ডন সফর করেন। তিনি দেশে ফিরে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। একই আসনে আরও একাধিক নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডন যাচ্ছেন বলে জানা যায়।
সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনে যান আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি লন্ডনে যাওয়ার পর সিলেট বিএনপির রাজনীতি বইছে নতুন হওয়া। শুরু হয়েছে নানা আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, দুটি মিশন নিয়ে গেছেন আরিফুল হক। এর একটি হচ্ছে- সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়া, অপরটি হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি। লন্ডনে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমি আপনাদের দেখতে এসেছি। ৪-৫ দিন লন্ডনে থাকবো।'
আরিফুল হক সিটি নির্বাচনে নাকি সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তা নিয়ে এখন চলছে আলোচনা। তার ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, সার্বিক বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পরামর্শ নিতে তিনি লন্ডনে গেছেন। তার পরামর্শ পাওয়ার পর সিলেটের নির্বাচনী মাঠে নামবেন তিনি।
এদিকে, সোমবার রাতে লন্ডনে আরিফুল হক তার ঘনিষ্ঠ শতাধিক নেতাকর্মীকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বর্তমানে মাঠে থাকা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না বললেও নতুন রাজনৈতিক সংগঠনের কথা সরাসরি বলেন। তার বক্তব্য ঘিরে সিলেটে জামায়াত ঘরানার রাজনৈতিক নেতারা স্যোশাল মিডিয়ায় সরব হয়ে উঠেছেন। কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অন্য পার্টি বলতে সাবেক মেয়র আরিফ কি জামায়াতকে বোঝাতে চেয়েছেন?
ভার্চ্যুয়াল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়া ভিডিওতে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের দু-একটা তুচ্ছ ঘটনাকে কিছু রাজনৈতিক অন্য পার্টি, অন্য প্ল্যাটফরমে যা আপনারা ভালোভাবেই বুঝতেছেন, যারা এখনই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, বিভিন্ন ইনস্টিটিউশন, বিভিন্ন হাই-অফিসিয়াল পোস্টে তাদের নিজেদের লোক সেটআপ করে ফেলছে। সেখানে আমাদের মানুষগুলো নেই। আমাদের দু-চার জন অ্যাটর্নি জেনারেল, আর দু-চারটা পোস্ট দেখলেই মনে করবেন না সব আমাদের। তারা ভালো করে জানে ভোটে গেলে বিএনপি’র সঙ্গে কোনোভাবেই রিটার্ন করতে পারবে না। কাজেই তারা ওই ম্যাকানিজম শুরু করেছে সেখানে নির্বাচনকে একটু দূরে ঠেলে দিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনে তাদের লোকগুলোকে সেটআপ করা।'