অবৈধ সম্পদ গোপনে হস্তান্তর করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকার অভিযোগে দুদকের করা আবেদনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ. এইচ. এম. খাইরুজ্জামান লিটনকে স্ত্রী-কন্যাসহ বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

খায়রুজ্জামানের স্ত্রী শাহীন আক্তার এবং দুই কন্যা আনিকা ফারিহা জামান ও মায়সা সামিহা জামান এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষপতে এই আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

এইচএসসি পাশেই রাবিতে প্রথম শ্রেণির চাকরিতে নিয়োগ

রাবির ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র বিভ্রাট, ভোগান্তিতে ভর্তিচ্ছুরা

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক আক্তারুল ইসলাম এই তথ্য দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “দুদকের উপ-পরিচালক মোজাম্মিল হক রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র  এ.

এইচ. এম. খাইরুজ্জামান লিটন, তার স্ত্রী ও দুই কন্যার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।”

এদিকে আবেদনে বলা হয়, খায়রুজ্জামান লিটনসহ ছয়টি সংসদীয় আসনের সাবেক আট সংসদ সদস্যের (এমপি) বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে যাওযার অভিযোগেরর অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানের সময় গোপন সূত্রে জানা যায়, খাইরুজ্জামান লিটন ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে।

অভিযোগ সংশ্লিষ্ট খাইরুজ্জামান লিটন ও তার স্ত্রী মিসেস শাহীন আক্তার দেশ ছেড়ে পলায়ন করে তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন মর্মে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বলা হয়েছে আবেদনে।

তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে আবেদনে তুলে ধরে বলা হয়েছে, এ জন্য তাদের বিদেশ গমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।

শুনানি শেষে আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন।

ঢাকা/মামুন/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ