মুশফিকময় দিনে অঙ্কনের ফিফটি, হৃদয়ের ঝড়
Published: 6th, March 2025 GMT
শের-ই-বাংলায় সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। রাতে ওয়ানডে থেকে অবসর ঘোষণার পর শুরু। ম্যাচের আগে গার্ড অব অনার আর শেষ কেক কেটে উদযাপন। সবমিলিয়ে মুশফিকময় দিনে হার দিয়ে শুরুর পর বড় জয়ের দেখা পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
মিরপুরে ঢাকা লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলায় মুখোমুখি হয় মোহামেডান-রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২২২ রান করে রূপগঞ্জ। তাড়া করতে নেমে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন-তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে ৩৭.
অঙ্কন ৯৭ বলে ৮১ ও হৃদয় ৪৭ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। এক পাশে আগলে রেখে খেলা অঙ্কনের হাতে ওঠে ম্যাচসেরার পুরস্কার। ৫টি চার ও দুটি ছয়ে অঙ্কন সাজান ইনিংসটি।
আরো পড়ুন:
প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে ‘ফেল’ সাব্বির
শরিফুলের ভয়ংকর রূপ
১০ ওভারে ৫০ ডট বল, ১৪ রানে নিলেন ৪ উইকেট
একপ্রান্তে অঙ্কন যখন ধরে খেলছেন অন্য প্রান্তে ঝড় তোলেন হৃদয়। ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ঝড়ো ইনিংসটি সাজান হৃদয়। অধিনায়ক তামিম ফেরেন ১৭ বলে ১৪ রান করে। আরেক ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।
রূপগঞ্জের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ফাহাদ হোসেন, এনামুল হক ও মাহমুদুল হাসান।
এর আগে রূপগঞ্জের ব্যাটাররা আসা-যাওয়ার মিছিলে চ্যালেঞ্জিং স্কোর ছুঁড়তে পারেনি। সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র। এ ছাড়া তানভীর হায়দারের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ রান।
মোহামেডানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন ইবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র পগঞ জ র ন কর উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি