মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান, যানজট মুক্ত রূপগঞ্জ
Published: 6th, March 2025 GMT
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রশাসনের উদ্যোগে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযানের পর যানজট মুক্ত হয়েছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ের ভুলতা-গোলাকান্দাইল ও মদনপুর-গাজীপুর মহাসড়কের গোলাকান্দাইল-কাঞ্চন এলাকা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে এ উচ্ছেদ অভিযান চালায় রূপগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারিকুল আলম, পূর্বাচল অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (ভুমি) উবায়দুল রহমান শাহেল, নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সালাহউদ্দিন সহ বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা।
রূপগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) তারিকুল আলম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জের ভুলতা, গোলাকান্দাইল এলাকার দুই তৃতীয়াংশ সড়ক দখল করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভাসমান দোকান বসিয়ে ব্যবসা করে আসছিল।
এর আগেও বহুবার এসব ফুটপাত ও মহাসড়কে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করা হলেও একটি চাঁদাবাজ চক্র লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে পুনরায় দোকান বসাতে সহায়তা করে থাকে। সড়কে পুনরায় কোনো দোকান বসানো হলে গ্রেপ্তারসহ আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাতের আধারে চাঁদাবাজ চক্র দোকান বসিয়ে প্রতিদিন ২০০ টাকা করে আদায় করতো। রূপগঞ্জের ভুলতা, গোলাকান্দাইল এলাকার ফুটপাত ও মহাসড়কে বসা দোকান থেকে দৈনিক ৩ লাখ টাকা আদায় করতো।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফুটপাত ও মহাসড়কে ভাসমান দোকানের কারণে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকতো। তাছাড়া ফুটপাত দিয়ে মানুষ হাটাচলাও করতে পারতো না। বৃহস্পতিবার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় মহাসড়ক যানজট মুক্ত হয়েছে। সেই সাথে ভুলতা-গাউছিয়া এলাকার পরিবেশ সুন্দর হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম বলে, মহাসড়ক যানজট মুক্ত করতে এ অভিযান চালানো হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ য নজট ম ক ত র পগঞ জ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।