রাজশাহীর আওয়ামী লীগকর্মী মো. বিচ্ছাদকে (৫০) আবারো গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এবার তাকে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিচ্ছাদ নগরের বোয়ালিয়া থানার কেদুর মোড় মহল্লার বাসিন্দা। বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

গত সোমবার (৩ মার্চ) বিচ্ছাদকে ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দেয় স্থানীয়রা। পর দিন মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বোয়ালিয়া থানা পুলিশ তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে তোলে। এ সময় জামিন পেয়ে বিচ্ছাদ সেদিনই এলাকায় ফেরেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন স্থানীয় জনতা। রাতে তারা থানা ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানান।

তারা পুলিশকে জানান, বিচ্ছাদ ছাত্র-জনতার ওপর হামলার সময় আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছিলেন। এর ভিডিও ফুটেজ আছে। এরপরও তাকে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। এই ঘটনার জন্য তারা পুলিশকে দায়ী করে বিচ্ছাদকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

আরো পড়ুন:

স্ত্রী-মেয়েসহ আমির হোসেন আমুর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ

সৌদি আরবে পালানোর চেষ্টাকালে আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পরে বুধবার (৫ মার্চ) বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদকে বদলি করা হয়। নতুন ওসি হয়ে আসেন পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাক হাসান। তিনি আসার পর ফের বিচ্ছাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ওসি মোস্তাক হাসান জানান, রাতে কেদুর মোড়ের বাড়ি থেকে বিচ্ছাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠান বলেও জানান ওসি।

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।

এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।

এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।

এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ