হিজাব ও নিকাব পরা ছাত্রীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন সিদ্ধান্ত
Published: 6th, March 2025 GMT
ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ও গোপনীয়তা বিবেচনায় রেখে নারী শিক্ষক, নারী কর্মকর্তা ও নারী কর্মচারীদের মাধ্যমে নিকাব ও হিজাব পরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তকরণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তার তামান্না বিভাগের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার পর হিজাব-নিকাব নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। এ নিয়ে সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে সংবাদ সম্মেলনও করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তাহমিনা বলেন, আজ পরীক্ষা দেওয়ার সময় কর্তব্যরত শিক্ষক তাঁকে হাজিরা খাতায় সই করতে দেন এবং তাঁর খাতাটা স্বাক্ষর করতে হাতে নেন। তখন ওই শিক্ষক তাঁকে মুখ দেখাতে বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় শিক্ষক চলে যান। এবং একটু পরে একজন শিক্ষিকা এসে তাঁর স্বাক্ষর নেন। তাহমিনা মনে করেন, অনেকেই এমন সমস্যার মুখোমুখি হন। এর সমাধান প্রয়োজন। তাই তিনি এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন। এই পোস্টের দুই ঘণ্টা পর বিভাগের চেয়ারম্যান তাঁকে ফোন করে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
এই শিক্ষার্থী সংবাদ সম্মেলনে কয়েকটি দাবি জানান। এগুলো হলো অনতিবিলম্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের চেহারা দেখে শনাক্ত না করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করতে হবে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার পূর্ব পর্যন্ত নারী শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ভাইভায় নারী শিক্ষিকার মাধ্যমে শনাক্ত করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং এর আগে যেসব নারী শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন ও হেনস্তা করা হয়েছে, সেসব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনের আগেই পাঁচ ব্যাংক এক হবে: গভর্নর
বেসরকারি খাতের পাঁচ ইসলামী ব্যাংককে একীভূত (মার্জার) করার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সঙ্গে এই একীভূতকরণের কোনো সম্পর্ক নেই। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা আশা করি, আগামী সরকারও এ প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেবে। তবে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক একীভূত হবে।’
আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে গভর্নর এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি ব্যাংককর্মীদের আশ্বস্ত করেন, এই একীভূতকরণের ফলে কোনো কর্মীকে চাকরি হারাতে হবে না।
গভর্নর বলেন, কর্মীদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রয়োজনে কিছু শাখা পুনর্বিন্যাস করা হবে। যেসব ব্যাংকের শাখা শহর এলাকায় বেশি, সেগুলোর কিছু শাখা গ্রামাঞ্চলে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।
এ সময় পাচার করা সম্পদ উদ্ধার করা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন গভর্নর। তিনি বলেন, ‘সম্পদ উদ্ধারের বিষয়টি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ধাপে ধাপে অগ্রসর হওয়ার প্রক্রিয়া। আদালতের চূড়ান্ত রায় ছাড়া এসব অর্থ উদ্ধার সম্ভব নয়। এ জন্য সুনির্দিষ্ট তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চাই, আদালতের মাধ্যমে যাচাই হোক, আমাদের দাবি কতটা সঠিক। আদালতের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই অর্থ উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে।’
বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতির কথা উল্লেখ করে গভর্নর বলেন, আদালতের বাইরে সমঝোতার মাধ্যমে অর্থ ফেরতের পথও খোলা আছে। সে ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজবেন। সরকার যে পথ নির্ধারণ করবে, আদালত কিংবা এডিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়ে আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে।
গভর্নর আরও বলেন, দেশীয় সম্পদ উদ্ধারে দেশের আদালতে এবং বিদেশি সম্পদ উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট দেশের আদালতে মামলা পরিচালনার প্রস্তুতি চলছে।