প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) উদ্যোগে দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদদাতাদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে মোবাইল সাংবাদিকতাবিষয়ক তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু হয়েছে।

এতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কর্মরত সাংবাদিকরা অংশগ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর পিআইবি সেমিনার কক্ষে ওই কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পিআইবির অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক পারভীন সুলতানা রাব্বী ও প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম।

কর্মশালায় দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মিডিয়ায় কর্মরত ২৮ জন ক্যাম্পাস সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন পিআইবির প্রশিক্ষক মোহাম্মদ শাহ আলম।

এ সময় পিআইবির মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেন, “মিথ্যা এখন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সত্য-মিথ্যা যাচাই করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের বড় দায়িত্ব মূল তথ্য তুলে ধরা। সাংবাদিকদের এক চোখ দিয়ে না দেখে বহুচোখে দেখে তথ্য যাচাই করে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে।”

তিনি বলেন, “সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গত ১৫ বছরে সাংবাদিকতাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সম্মান ফিরিয়ে আনতে সবাইকে কাজ করতে হবে “

প্রশিক্ষণে সাংবাদিকদের মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে প্রতিবেদন তৈরির কৌশল, মক সেশন, ব্যবহারিক ক্লাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাংবাদিকরা বহুমুখী প্ল্যাটফর্মে প্রতিবেদন তৈরি ও পরিবেশনে পারদর্শিতা অর্জন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন আয়োজকরা। আগামী ৮ মার্চ পর্যন্ত এ কর্মশালা চলবে।

ঢাকা/তৈয়ব/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প আইব র

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ