চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এই ফল প্রকাশিত হয়। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯১ হাজার ৭৩৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে পাস করেছেন ২৯ হাজার ৪১১ জন। আর ফেল করেছেন ৫৯ হাজার ৫১১ জন। বাকিদের উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে।

বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে ১ হাজার ১২৩ সাধারণ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ জন। তবে পরীক্ষা দেন ৯১ হাজার ৭৩৯ জন। চলতি ১ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী তিন বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা হয়। পরে পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার রাতে ফল ঘোষণা করা হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাসের জন্য সর্বনিম্ন নম্বর ধরা হয়েছিল ৪০। এর বাইরে আলাদা করে বাংলায় ১০ নম্বরের মধ্যে ৩ আর ইংরেজিতে ১০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৪ নির্ধারণ করা হয়েছিল।  

ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে এই ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২ হাজার ৮১৭ শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে। কারণ, তাঁরা উত্তরপত্র ঠিকমতো পূরণ করতে পারেননি।

গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ। কাল শনিবার কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। এই ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ৮৯৬টি। এর বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ৭৩ হাজার ১৭১ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৮১ জন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আসন র ব পর ত পর ক ষ য় এ ইউন ট ইউন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার

বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।

গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ