চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৫৯ হাজার শিক্ষার্থী ফেল
Published: 7th, March 2025 GMT
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এই ফল প্রকাশিত হয়। এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৯১ হাজার ৭৩৯ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। তবে এর মধ্যে পাস করেছেন ২৯ হাজার ৪১১ জন। আর ফেল করেছেন ৫৯ হাজার ৫১১ জন। বাকিদের উত্তরপত্র বাতিল হয়েছে।
বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, প্রকৌশল, মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদের সব বিভাগ নিয়ে গঠন করা হয়েছে এ ইউনিট। এই ইউনিটে ১ হাজার ১২৩ সাধারণ আসনের বিপরীতে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৯ হাজার ৮১ জন। তবে পরীক্ষা দেন ৯১ হাজার ৭৩৯ জন। চলতি ১ মার্চ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী তিন বিভাগীয় শহরে এই পরীক্ষা হয়। পরে পরীক্ষার উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে বৃহস্পতিবার রাতে ফল ঘোষণা করা হয়। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাসের জন্য সর্বনিম্ন নম্বর ধরা হয়েছিল ৪০। এর বাইরে আলাদা করে বাংলায় ১০ নম্বরের মধ্যে ৩ আর ইংরেজিতে ১০ নম্বরের মধ্যে সর্বনিম্ন পাস নম্বর ৪ নির্ধারণ করা হয়েছিল।
ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করে এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক মুহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী বলেন, উত্তরপত্র যাচাই-বাছাই করে এই ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ২ হাজার ৮১৭ শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র বাতিল করা হয়েছে। কারণ, তাঁরা উত্তরপত্র ঠিকমতো পূরণ করতে পারেননি।
গত বছরের মতো এ বছরও ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। তবে আসনসংখ্যায় পরিবর্তন এসেছে। গত বছর ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন নেওয়া হলেও এবার মোট ৪ হাজার ৫৮৪টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ আসন ৪ হাজার ১১টি আর বাকি ৫৭৩টি আসন কোটার জন্য বরাদ্দ। কাল শনিবার কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা হবে। এই ইউনিটে সাধারণ আসন রয়েছে ৮৯৬টি। এর বিপরীতে পরীক্ষায় বসবেন ৭৩ হাজার ১৭১ শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ১টি আসনের বিপরীতে এতে পরীক্ষার্থী প্রায় ৮১ জন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আসন র ব পর ত পর ক ষ য় এ ইউন ট ইউন ট র
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?