Prothomalo:
2025-06-16@19:57:13 GMT

শয়তানের ধোঁকার কাহিনি

Published: 8th, March 2025 GMT

পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তাদের তুলনা সেই শয়তান, যে মানুষকে বলে—অবিশ্বাস করো। তারপর যখন সে অবিশ্বাস করে, তখন শয়তান বলে—তোমার সঙ্গে তো আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তো বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’ (সুরা হাশর, আয়াত: ১৬)

এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হজরত জারির আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, বনী ইসরাইলের এক নারী বকরি চরাত। তার ছিল চার ভাই। রাতের বেলা সে ধর্মযাজকের উপাসনালয়ে এসে আশ্রয় নিত। একদিন এক যাজক এসে তার সঙ্গে সংসর্গ করে। এতে সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শয়তান এসে প্ররোচনা দিয়ে বলে, ‘ওই নারীকে খুন করে মাটিচাপা দাও। লোকে তো তোমাকে বিশ্বাস করে। তারা তোমার কথা শুনবে।’ শয়তানের প্ররোচনায় সে নারীকে খুন করে এবং মাটিচাপা দিল। এবার শয়তান স্বপ্নে নারীর ভাইদের কাছে উপস্থিত হয়। তাদেরকে বলে, উপাসনালয়ের যাজক তোমাদের বোনের সঙ্গে অন্যায় করেছে এবং সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাকে খুন করে অমুক স্থানে মাটিচাপা দিয়েছে।

আরও পড়ুনআবু মুসা (রা.

) ছিলেন জ্ঞানী সাহাবি২২ মে ২০২৪

সকাল হলে ভাইদের একজন বলল, ‘আল্লাহর কসম! গত রাতে আমি এক আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখি, সেটি তোমাদের বলব কি বলব না তা স্থির করতে পারছি না।’ অন্য ভাই বলল, ‘তুমি বরং ওই স্বপ্নের কথা আমাদের বলো।’ সে তা বর্ণনা করল। আরেক ভাই বলল, ‘আমিও স্বপ্নে তা–ই দেখেছি।’ তৃতীয়জন বলল, ‘আমিও তা–ই দেখেছি।’ তখন তারা বলাবলি করে, নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো রহস্য আছে।

তারা সবাই তাদের শাসনকর্তাকে যাজকের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে উদ্বুদ্ধ করে। তারপর সবাই যাজকের কাছে যায়। তাকে উপাসনালয় থেকে নামিয়ে আনে। এ সময় শয়তান যাজকের কাছে উপস্থিত হয়ে বলে, ‘আমি তোমাকে এ বিপদে ফেলেছি। আমি ছাড়া কেউ তোমাকে এখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। সুতরাং তুমি আমাকে একটি সিজদা করো; আমি তোমাকে যে বিপদে ফেলেছি তা থেকে উদ্ধার করব।’ তারপর যাজক তাকে সিজদা করল।

তারপর শাস্তি বিধানের জন্য যখন শাসনকর্তার কাছে তাকে নিয়ে গেল। তখন শয়তান ওই জায়গা থেকে সরে পড়ল এই বলে, ‘তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’ আর তাদের পরিণতি সম্পর্কে সুরা হাশরের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শেষে অবিশ্বাসী ও মুনাফিক উভয়ের পরিণাম হবে জাহান্নাম। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, আর এটাই সীমালঙ্ঘনকারীদের কর্মফল।’ (আল–বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ২)

আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়২৫ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ