Prothomalo:
2025-05-01@03:32:29 GMT

শয়তানের ধোঁকার কাহিনি

Published: 8th, March 2025 GMT

পবিত্র কোরআনে আছে, ‘তাদের তুলনা সেই শয়তান, যে মানুষকে বলে—অবিশ্বাস করো। তারপর যখন সে অবিশ্বাস করে, তখন শয়তান বলে—তোমার সঙ্গে তো আমার কোনো সম্পর্ক নেই, আমি তো বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’ (সুরা হাশর, আয়াত: ১৬)

এর ব্যাখ্যা সম্পর্কে হজরত জারির আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, বনী ইসরাইলের এক নারী বকরি চরাত। তার ছিল চার ভাই। রাতের বেলা সে ধর্মযাজকের উপাসনালয়ে এসে আশ্রয় নিত। একদিন এক যাজক এসে তার সঙ্গে সংসর্গ করে। এতে সেই নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। শয়তান এসে প্ররোচনা দিয়ে বলে, ‘ওই নারীকে খুন করে মাটিচাপা দাও। লোকে তো তোমাকে বিশ্বাস করে। তারা তোমার কথা শুনবে।’ শয়তানের প্ররোচনায় সে নারীকে খুন করে এবং মাটিচাপা দিল। এবার শয়তান স্বপ্নে নারীর ভাইদের কাছে উপস্থিত হয়। তাদেরকে বলে, উপাসনালয়ের যাজক তোমাদের বোনের সঙ্গে অন্যায় করেছে এবং সে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাকে খুন করে অমুক স্থানে মাটিচাপা দিয়েছে।

আরও পড়ুনআবু মুসা (রা.

) ছিলেন জ্ঞানী সাহাবি২২ মে ২০২৪

সকাল হলে ভাইদের একজন বলল, ‘আল্লাহর কসম! গত রাতে আমি এক আশ্চর্যজনক স্বপ্ন দেখি, সেটি তোমাদের বলব কি বলব না তা স্থির করতে পারছি না।’ অন্য ভাই বলল, ‘তুমি বরং ওই স্বপ্নের কথা আমাদের বলো।’ সে তা বর্ণনা করল। আরেক ভাই বলল, ‘আমিও স্বপ্নে তা–ই দেখেছি।’ তৃতীয়জন বলল, ‘আমিও তা–ই দেখেছি।’ তখন তারা বলাবলি করে, নিশ্চয়ই এর মধ্যে কোনো রহস্য আছে।

তারা সবাই তাদের শাসনকর্তাকে যাজকের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে উদ্বুদ্ধ করে। তারপর সবাই যাজকের কাছে যায়। তাকে উপাসনালয় থেকে নামিয়ে আনে। এ সময় শয়তান যাজকের কাছে উপস্থিত হয়ে বলে, ‘আমি তোমাকে এ বিপদে ফেলেছি। আমি ছাড়া কেউ তোমাকে এখান থেকে উদ্ধার করতে পারবে না। সুতরাং তুমি আমাকে একটি সিজদা করো; আমি তোমাকে যে বিপদে ফেলেছি তা থেকে উদ্ধার করব।’ তারপর যাজক তাকে সিজদা করল।

তারপর শাস্তি বিধানের জন্য যখন শাসনকর্তার কাছে তাকে নিয়ে গেল। তখন শয়তান ওই জায়গা থেকে সরে পড়ল এই বলে, ‘তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। আমি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।’ আর তাদের পরিণতি সম্পর্কে সুরা হাশরের ১৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘শেষে অবিশ্বাসী ও মুনাফিক উভয়ের পরিণাম হবে জাহান্নাম। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে, আর এটাই সীমালঙ্ঘনকারীদের কর্মফল।’ (আল–বিদায়া ওয়ান নিহায়া, খণ্ড ২)

আরও পড়ুনযে কারণে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়া হয়২৫ মার্চ ২০২৪

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আল ল হ ত রপর

এছাড়াও পড়ুন:

নায়িকা হতে আসিনি, তবে...

গুটি, সুড়ঙ্গ, মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন থেকে ওমর—সব সিনেমা-সিরিজেই প্রশংসিত হয়েছে আইমন শিমলার অভিনয়। অল্প সময়ের উপস্থিতিতেও নিজের ছাপ রাখতে পেরেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী। ধূসর চরিত্রেও তিনি সাবলীল, অন্য তরুণ অভিনেত্রীদের থেকে এখানেই আলাদা শিমলা। তবে একটা কিন্তু আছে। এখন পর্যন্ত তাঁর অভিনীত আলোচিত চরিত্রগুলোর সবই চাটগাঁইয়া। শিমলা নিজে চট্টগ্রামের মেয়ে, একটা সময় পর্যন্ত বন্দরনগরীর বাইরে চেনাজানা ছিল সীমিত। এক সিরিজে তাঁর চাটগাঁইয়া ভাষা আলোচিত হওয়ায় পরপর আরও কাজে তাঁকে চাটগাঁইয়া চরিত্রের জন্য ভেবেছেন নির্মাতা।

এ প্রসঙ্গ দিয়েই অভিনেত্রীর সঙ্গে আলাপের শুরু করা গেল। শিমলা জানালেন, এ নিয়ে তাঁর নিজেরও অস্বস্তি আছে। চেষ্টা করছেন ‘চাটগাঁইয়া দুনিয়া’র বাইরে যেতে। সঙ্গে এ–ও জানিয়ে রাখলেন, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর নিজের চরিত্র পছন্দ করে নেওয়ার সুযোগ কমই ছিল।

‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শুটিংয়ের ঠিক আগে জেনেছি চরিত্রটি সম্পর্কে। তখন তো কিছু করার থাকে না। তবে যেসব কাজ করেছি, সবই আলোচিত পরিচালক আর অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে; এ অভিজ্ঞতার মূল্যও কম নয়। শিহাব (শিহাব শাহীন) ভাইয়ের সঙ্গে মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন, কাছের মানুষ দূরে থুইয়া, রবিউল আলম রবি ভাইয়ের সঙ্গে ফরগেট মি নট আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। এ ছাড়া (শহীদুজ্জামান) সেলিম ভাইয়ের কথা বিশেষভাবে বলব। সুড়ঙ্গ ও ওমর—দুই সিনেমায় তিনি আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন,’ বলছিলেন তিনি।

ঈদে মুক্তি পাওয়া এম রাহিমের সিনেমা জংলিতেও আছেন শিমলা। এ ছবিতে অবশ্য তাঁর চরিত্রটি চাটগাঁইয়া ভাষায় কথা বলে না। সে জন্য সিনেমাটি নিয়ে তিনি বেশি উচ্ছ্বসিত। ‘মুক্তির পর থেকে সিনেমা তো বটেই, আমার অভিনীত চরিত্রটি নিয়ে প্রশংসা পাচ্ছি কিন্তু দুঃখের কথা, আমি নিজেই এখনো দেখতে পারিনি। ব্যক্তিগত ঝামেলা, শুটিংয়ে ব্যস্ততার কারণে সম্ভব হয়নি। শিগগিরই আমার টিমের সঙ্গে দেখতে চাই,’ বলছিলেন তিনি।

আইমন শিমলা

সম্পর্কিত নিবন্ধ