দুপুরের পর থেকেই তাপমাত্রা কমতে থাকে। বর্তমানে শিলংয়ের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। কিন্তু এই সময়ে বাংলাদেশে গরম অনুভূত হচ্ছে। দুই রকম তাপমাত্রায় কিছুটা ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলকে। ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শুধু ভারতই নয়, সেখানকার ঠান্ডা কন্ডিশনও।
তবে সৌদি আরবে ক্যাম্প করতে যাওয়া ফুটবলারদের বিশ্বাস, শিলংয়ের ঠান্ডা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন তারা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতেও সন্ধ্যার পর ঠান্ডা অনুভূত হয়। তাই সৌদির ঠান্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা, ‘এখানে আমরা আগেও ক্যাম্প করেছি। এবার মাঠ আগের চেয়ে অনেক ভালো। সৌদির আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি, যেটা শিলংয়ের ঠান্ডা কন্ডিশনের সঙ্গে মানাতে সাহায্য করবে।’
তাইফ জেনারেল স্পোর্টস অথরিটি ক্যাম্পে শুক্রবারও অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। কন্ডিশন নিয়ে কোচের মতোই মন্তব্য ফরোয়ার্ড ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের, ‘এখানে ঠান্ডা আবহাওয়া। তবে আমার মনে হয়, এটার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য তেমন সমস্যা হবে না। কারণ, এখানে যেহেতু আমরা ১০-১২ দিন থাকব। আমার মনে হয়, শিলংয়েও একই রকম কন্ডিশন থাকবে; আমাদের তেমন একটা সমস্যা হবে না।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন
তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের।
দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত।
আরো পড়ুন:
রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।
তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।
গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে।
সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।
ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে।
২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি