রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় নানাবাড়ি বেড়াতে আসা ৯ বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি জহুরুল ইসলাম মোল্লাকে (৪৭) শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির নানি অভিযোগ করেন, একটি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাঁর নাতনি। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মায়ের সঙ্গে তাঁর নাতনি তাঁদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর নাতনি বাড়ির পাশের একটি মাঠে ঘোরাফেরা করছিল। প্রতিবেশী জহুরুল ইসলাম মোল্লা তাঁর নাতনিকে কোলে নিয়ে পাশে একটি ঘাসের মাঠে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে জহুরুল পালিয়ে যান।

বালিয়াকান্দি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিশুটিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে শুক্রবার রাত সোয়া একটার দিকে তার নানি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে রাত সাড়ে তিনটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে জহুরুল ইসলাম মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শিশুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ