সেহরির রান্নার জন্য চুলা জ্বালাতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬
Published: 9th, March 2025 GMT
চাঁদপুরে গ্যাস লাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। রোববার ভোরে শহরের কোড়ালিয়া এলাকায় একটি বাসায় সেহরির খাবার রান্নার সময় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের মধ্যে চারজনকে ঢাকায় জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
দগ্ধ ছয়জনের মধ্যে আব্দুর রহমান সরদার (৬৫), তাঁর স্ত্রী শাহানুর বেগম (৫৫), পুত্রবধূ খাদিজা আক্তার (৩২) ও ছোট ছেলে মঈন (১৮) নামে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠান চিকিৎসক। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে আব্দুর রহমানের বড় ছেলে ইমাম হোসেন সরদার (৩২) ও মেজ ছেলে মিরাজের স্ত্রী দিবা আক্তার (২১)।
গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারো করছেন পরিবারের স্বজনরা। আব্দুর রহমান সরদারের ভাগিনা শাহ আলম জানান, পরিবারের লোকজন ভোর রাতে সেহরি খাওয়ার জন্য উঠে। এ সময় রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতে গেলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে রান্না ঘরসহ কয়েকটি কক্ষের আসবাবপত্র ও লেপ-তোষক পুড়ে যায়। প্রতিবেশীদের সহায়তায় আগুন নেভানো হয়।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আগ ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়