কুমারখালীতে ২ এএসআই হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই এএসআই নিহতের ঘটনার প্রধান আসামি ইয়ারুল শেখকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তার ইয়ারুল শেখ কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড় কালোয়া গ্রামের মৃত বদর উদ্দিন শেখের ছেলে।
আরো পড়ুন:
বানিয়াচংয়ে নয় হত্যা মামলায় আ.
নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
আরো পড়ুন: পদ্মায় নিখোঁজ আরেক পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর (সোমবার) ভোরে আসামি ধরতে কুমারখালীর বেড় কালোয়া এলাকায় যান পুলিশ সদস্যরা। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় নৌকা থেকে পদ্মা নদীতে পড়ে নিখোঁজ হন কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন। পরদিন দুপুরে সদরুল আলমের লাশ ঘটনাস্থল থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। একদিন পর সকালে পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ এলাকার পদ্মা নদী থেকে মুকুল হোসেনের লাশ উদ্ধার করে নাজিরগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।
আরো পড়ুন: পদ্মায় নিখোঁজ এএসআইয়ের মরদেহ উদ্ধার, অভিযান অব্যাহত
এ ঘটনায় কুমারখালী থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ইয়ারুল শেখসহ ৮ জনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়। একই ঘটনায় অভিযানে পুলিশের সঙ্গে থাকা কয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ছানোয়ার হোসেন সেলিম বাদী হয়ে ৩৭ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুমারখালী থানায় আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলাতেই আরো ২০-২৫ জনকে নাম না জানা আসামি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন: পদ্মায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ২ পুলিশ কর্মকর্তা নিখোঁজ
কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ বলেন, “ইয়ারুল দুই পুলিশ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামি। তিনি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতাসহ আরো পাঁচটি মামলা রয়েছে।”
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে বিভিন্ন মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ও বন্দর থানার মাদক মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ধৃতরা হলো বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদস্থ ঠাকুরবাড়ী এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার রুজুকৃত ৪৯(১)২২ নং ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছরের সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিব (২৫) ও বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত সানোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে বন্দর থানার রুজুকৃত ৬(৪)২৩ নং মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেল (৪৫)।
ধৃতদের সোমবার ( ৩ নভেম্বর) দুপুরে পৃথক সাঁজা ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর থানার শাহীমসজিদ ও দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় পৃথক ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, বন্দর ফাঁড়ী এএসআই বিরাজসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহীমসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছেরর সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
এ ছাড়াও একই রাতে বন্দর থানার অপর এএসআই হাবিবুর রহমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত থানার মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।