গোবিন্দগঞ্জে দুই ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
Published: 11th, March 2025 GMT
অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজমল হোসেন ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাথানগাড়ী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও আজমল হোসেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা গেছে। তারা দুজনেই উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের আমলে তারা সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থেকে বিগত সরকারের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ন ত ইউপ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার
নোয়াখালীর হাতিয়ায় শ্বশুরবাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বুড়িরচরের জোড়খালী গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা-পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার মো. আলাউদ্দিন সন্দ্বীপ পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের হরিষপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে হাতিয়ার শ্বশুরবাড়িতে পালিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে হাতিয়া থানা হাজতে রাখা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. আলাউদ্দিন জোড়খালী গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করে সরকার বিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। গোপন সংবাদে বিষয়টি টের পাওয়ার পরই তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি এ কে এম আজমল হুদা জানান, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আলাউদ্দিন ও তাঁর ১৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় নাশকতার পরিকল্পনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অপর আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।