অপারেশন ডেভিল হান্টের অংশ হিসেবে বিশেষ অভিযানে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য আজমল হোসেন ও মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের নাথানগাড়ী বাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তার মিজানুর রহমান ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও আজমল হোসেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন বলে জানা গেছে। তারা দুজনেই উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের আমলে তারা সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ থেকে বিগত সরকারের নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। দীর্ঘদিন তারা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ ন ত ইউপ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের চারটি ধারা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি

‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’–এর চারটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বলা যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

ওই অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রিটটি করেন, যা ১৭ মার্চ হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি বিব্রতবোধের কথা জানিয়ে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতি শুনানির জন্য বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে বিষয়টি পাঠান। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আজ আদেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও এম বদরুদ্দোজা বাদল, আইনজীবী কায়সার কামাল ও মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিট আবেদনকারী আইনজীবী মো. আজমল হোসেন নিজেও শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান মিলন শুনানিতে ছিলেন।

পরে আইনজীবী মো. আজমল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। শুনানি শেষে কিছু পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে আদালত রিটটি নিষ্পত্তি করে আদেশ দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ আদেশ পেলে পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বলা যাবে।

এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতি কর্তৃক রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ–২০২৫’ শিরোনামে অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।

অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন। এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি। অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়। অধ্যাদেশের ৩ ধারায় কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা, ৪ ধারায় কাউন্সিল সচিব, ৬ ধারায় কাউন্সিলের ক্ষমতা ও কার্যাবলি এবং ৯ ধারায় আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগবিষয়ক সুপারিশ সম্পর্কে বলা রয়েছে।

রিট আবেদনে দেখা যায়, ওই ধারাগুলো কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছিল। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় অধ্যাদেশটির কার্যক্রম স্থগিতও চাওয়া হয়েছিল। রিটে আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের চারটি ধারা নিয়ে রিট পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি
  • দূর সম্পর্কের ভাতিজিকে নিয়ে লাপাত্তা যুবলীগ নেতা