২০ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের পথনকশা দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের
Published: 11th, March 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পথনকশা (রোডম্যাপ) ২০ মার্চের মধ্যে ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপাচার্যের কাছে দেওয়া স্মারকলিপিতে এ দাবি জানানো হয়।
এর আগে আজ বেলা তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ। সেখানে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গড়িমসির অভিযোগ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার। তিনি বলেন, ‘আমরা যারা শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করি, তারা শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলেই আসছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ নিয়ে গড়িমসি দেখছি। কখনো জানুয়ারি আবার ফেব্রুয়ারিতে ডাকসু নির্বাচনের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত কোনো রোডম্যাপ (পথনকশা) ঘোষণা করা হয়নি।’
চার স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর সহাবস্থান রয়েছে উল্লেখ করে বাকের মজুমদার এই চার বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
এ সময় সংগঠনের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, ঢাবি শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বক্তব্য দেন। পরে সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
স্মারকলিপিতে ২০ মার্চের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে ডাকসুর তফসিল ঘোষণার দাবি জানানো হয়। পথনকশা ঘোষণা করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয় স্মারকলিপিতে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স ম রকল প
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক