যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান টেসলার একটি গাড়ি কিনবেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির মালিক মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক। তাঁর প্রতি সমর্থন জানাতেই গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতের পর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘রিপাবলিকান, রক্ষণশীল এবং সব আমেরিকানের উদ্দেশে বলছি, দেশকে সহায়তার জন্য ইলন মাস্ক এটাকে (টেসলা) ঝুঁকির মুখে ফেলছেন। (দেশের জন্য) তিনি অসাধারণ কাজ করছেন।’

‘বাম কট্টরপন্থী উন্মাদেরা’ অবৈধভাবে এবং চক্রান্তের মাধ্যমে টেসলাকে বর্জনের চেষ্টা করছে উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘ইলন মাস্কের প্রতি আস্থা ও সমর্থন দেখাতে আমি আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে একেবারে নতুন মডেলের একটি টেসলা কিনব। তিনি সত্যিকারের একজন মহান আমেরিকান।’

গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই) নামের নতুন একটি বিভাগ খুলে তার দায়িত্ব দেন মাস্ককে। এই বিভাগের মাধ্যমে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের খরচ কমানো এবং সরকারি কর্মীদের কাটছাঁটের লক্ষ্যে কাজ করছেন।

তবে খরচ কমাতে ডিওজিইর তৎপরতা দিন দিন বাধার মুখে পড়ছে। এই তৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে, চাপ আসছে আইনপ্রণেতাদের দিক থেকে। এমনকি এর বিরুদ্ধে মার্কিন আদালত আদেশও দিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মাস্কের প্রতিষ্ঠান টেসলার গাড়ি বর্জন করা হতে পারে আশঙ্কা করছেন প্রতিষ্ঠানটিতে বিনিয়োগকারীরা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেয়র পদ নিয়ে ইশরাকের মামলায় ইসির ভূমিকায় এনসিপির উদ্বেগ
  • পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণায় সন্তুষ্ট ট্রাম্প, চান স্থায়ী চুক্তি
  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতিতে মার্কিন তৎপরতা