মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা, আটক ৩
Published: 12th, March 2025 GMT
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী এলাকায় শাকিল (১০) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই গ্রামের সহিদুলের বাড়িসংলগ্ন একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দিতে না পারায় তাকে হত্যা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত শাকিল লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামের শফিকুলের ছেলে। সে স্থানীয় আনসারিয়া নুরানী মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শাকিলের মা অন্ধ ও বাবা ঢাকায় কাজ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত সোমবার দুপুরে শাকিলকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পরপরই একটি মোবাইল নম্বর থেকে শাকিলের মা জয়নবের কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত নেমে একই এলাকার সহিদুল ও তাঁর ছেলে সোহানকে আটক করে। গতকাল দুপুরে আটক করা হয় সোহানের মা সাহানাকে। পরে আটক সোহানের দেওয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার স্থানীয় সহিদুলের বাড়িসংলগ্ন একটি কাঁচা সেপটিক ট্যাঙ্কের নিচে পুঁতে রাখা শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি নুরনবী বলেন, শাকিলকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। শাকিলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার
চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।
উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।
পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।