তামিমের আরেকটি সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের সহজ জয়
Published: 12th, March 2025 GMT
তামিম ইকাবলের ব্যাটে আরেকটি সেঞ্চুরি। মোহামেডানের আরেকটি জয়। তামিম আবারো ম্যাচসেরা নির্বাচিত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ সুসময় যাচ্ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও তামিম ইকবালের। বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান।
বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্স গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৭ রানে। ওই রান মোহামেডান তাড়া করে ৩২.
রনি তালুকদারের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ সুবিধা করতে পারেননি। পেসার আল-আমিন হোসেনের বলে ৬ বলে ২ রান করে আউট হন। সেখান থেকে তামিম ও অঙ্কন জুটি মোহামেডানকে উল্লাসে ভাসান।
আরো পড়ুন:
‘যেখানেই খেলি না কেন আমার একটাই ইচ্ছা থাকে’
আবারো ১০ উইকেটে জয় রূপগঞ্জের
অবশ্য প্রথম ইনিংসে তাইজুলের ঘূর্ণিতে জয়ের অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছিল। বাঁহাতি স্পিনার ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারের বোলিংয়ে ছিল ১ মেডেনও। এছাড়া পেসার আবু হায়দার রনি ২৪ রানে ৪ ও মিরাজ ৩০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।
সম্মিলিত আক্রমণে ব্রাদার্স তেমন সুবিধাই করতে পারেনি। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ইমতিয়াজ হোসেন। ৩২ রান আসে আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে। চার ম্যাচে মোহামেডানের এটি তৃতীয় জয়। প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা তিন জয় তুলেছে তারা। ব্রাদার্সের চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর
চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।
পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।
সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।
পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।