সিনেমায় কাটা হাতের দাগ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন শাবনাজ
Published: 12th, March 2025 GMT
১৯৯৬ সালের ২৬ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ক্লিপ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ঈদের পোশাক থেকে ‘গান’ কিংবা ‘নাটক’-সর্বত্র চলছে ‘হেনা’ ট্রেন্ড; যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। এ বিষয় নিয়ে প্রথমবার কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন শাবনাজ।
এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অনেকে তো এখন আমাকে ‘হেনা আপা’ নামেই সম্বোধন করছেন। বিষয়টি মজার, একই সাথে বিস্ময়কর। কারণ আজকাল তো বেশির ভাগ সময় নেতিবাচক বিষয়গুলোই ভাইরাল হয়। সে ক্ষেত্রে ২৯ বছর আগে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা নতুন করে পরিচিতি পাচ্ছে, এ প্রজন্মের দর্শকরা আমাদের সিনেমা বা অভিনয় নিয়ে ইতিবাচকভাবে চর্চা করছেন, বিষয়টি অনেক বেশি ভালো লাগার।ভালো সিনেমার শক্তি এখানেই।’
প্রায় দুই যুগের বেশি সময় হলো নিয়মিত অভিনয় ছেড়েছেন শাবনাজ। অথচ এখনো সিনেমার দাগ বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাভ’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে হাত কেটে গিয়েছিল।
সেই দাগ এখনো রয়ে গেছে। একই বছর একই পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিকও নিয়েছিলেন সে সময়ের সবচেয়ে সফল জুটি শাবনাজ-নাঈম।
তবে বিশেষ একটি কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নেন, সিনেমাটিতে কাজ করবেন না। পরবর্তীতে মৌসুমী-সালমান শাহের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এই সিনেমার মাধ্যমে। অভিনয় না করলেও ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মহরতের দিন নতুন জুটিকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শাবনাজ-নাঈম।
১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে রাজকীয় অভিষেক হয়েছিল শাবনাজের। প্রথম সিনেমার জন্য সে সময় ৫০ হাজার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি।
এ রকম না বলা অনেক গল্পই জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ শেয়ার করেছেন ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে। রুম্মান রশীদ খান ও অর্চি রহমানের সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের পরের দিন সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ বন জ ন শ বন জ ক য় মত
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।