পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাইয়ের ঘটনায় জিম্মি যাত্রীদের মধ্যে আত্মঘাতী বোমা পরে জঙ্গিরা বসে আছে। এর ফলে উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে বলে বুধবার পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। খবর রয়টার্স ও ডন অনলাইন।

একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ৭০ থেকে ৮০ জন বিচ্ছিন্নতাবাদী বেলুচি জঙ্গি ৪৫০ জন যাত্রী বহনকারী জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি জিম্মি করে রেখেছে। তারা একটি রেললাইন উড়িয়ে দিয়েছে এবং রকেট ছুঁড়েছে। জিম্মিদের উদ্ধারের জন্য শত শত সেনা এবং হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছে। ট্রেন চালক এবং আরো বেশ কয়েকজন ইতিমধ্যেই নিহত হয়েছেন।

সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখনো পর্যন্ত ১৯০ জন যাত্রীকে তারা উদ্ধার করেছেন। এছাড়া অভিযানে নিহত হয়েছে ৩০ জঙ্গি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জিও টেলিভিশনকে জানিয়েছেন, বেলুচ লিবারেশন আর্মির (বিএলএ) জঙ্গিদের শরীরে বোমা বাঁধা রয়েছে। তারা যাত্রীদের পাশে বসে আছে।

তিনি বলেন, “তারা আত্মঘাতী বোমা পরে আছে যা উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলছে। অভিযানটি খুব সাবধানতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে যাতে জিম্মি, নারী ও শিশুদের কোনো ক্ষতি না হয়।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান,  প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন হামলাকারী ট্রেনটি ছিনতাই করেছে। তারা হুমকি দিয়েছে যে, কর্তৃপক্ষ যদি বেলুচ রাজনৈতিক বন্দি, কর্মী এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি না দেয়, তাহলে তারা জিম্মিদের হত্যা শুরু করবে।
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ