রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতীদলের ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা
Published: 12th, March 2025 GMT
রূপগঞ্জে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের উপজেলা শাখার কমিটি গতকাল বুধবার বিকেলে ঘোষণা করা হয়েছে। মো. মোরশেদ আলমকে আহ্বায়ক ও মৃদুল হাসানকে সদস্য সচিব করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক সোলমান আহম্মেদ রুবেল স্বাক্ষরিত কমিটি বুধবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলা কমিটির হাতে তুলে দেন।
এ কমিটি ঘোষণায় রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা তাঁতীদলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতীদলের সদস্য সচিব মৃদুল হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। দলকে শক্তিশালী করতে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
সেই সাথে দলের ক্লান্তিকালে কাজ করেছি। দলকে সুসংগঠিত রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপুর পক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। তারই ফল স্বরুপ নারায়ণগঞ্জ জেলা তাঁতীদল বুধবার বিকেলে রূপগঞ্জ উপজেলা তাঁতীদলের কমিটির ঘোষণা করেছে।
কমিটির অন্যরা হলেন- যুগ্ন আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান লিটন, দ্বীন ইসলাম, সফু সওদাগর, আব্দুল কাদের, রাসেল মাহমুদ, মোশারফ হোসেন মুন্না, শাহজাহান, নুরুল আমিন পাশা, আনোয়ার হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, বাদল মিয়া, আক্তার হোসেন, সদস্য এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ র পগঞ জ উপজ ল জ র রহম ন কম ট র ত দল র সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।