কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়ায় সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী ও শিশুসহ ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নেজাম উদ্দিন (২০) নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে।

বুধবার (১২ মার্চ) রাত ৮টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের মধ্যম কচ্ছপিয়া এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে এদের উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।

আটক নেজাম উদ্দিন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের হাজমপাড়ার মোহাম্মদ হোসেন ওরফে লাল মোহাম্মদের ছেলে।

উদ্ধার হওয়া ১৮ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ৫ জন শিশু, ১১ জন নারী ও ২ জন পুরুষ রয়েছেন। তারা উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ওসি গিয়াস উদ্দিন বলেন, “পুলিশ গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের সদস্যরা কিছু রোহিঙ্গাকে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করছে। এরপর পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়।”

তিনি আরও বলেন, “অভিযানকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ১০-১৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ ধাওয়া দিয়ে একজনকে আটক করে এবং ১৮ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে।”

ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের নানা প্রলোভন দেখিয়ে মালয়েশিয়ায় পাচারের উদ্দেশ্যে সেখানে নিয়ে আসে। পরে বুধবার রাতে তাদের সাগরপথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য ট্রলারে উঠানোর পরিকল্পনা করেছিল দালাল চক্রটি।

আটক ব্যক্তিসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি।

ঢাকা/তারেকুর/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন: বাঁধন

মানুষ বছরের একটি দিন বাবার জন্য আলাদা করে রাখতে চায়, যেমনটা রাখা হয় মায়ের জন্য। এই বিশেষ দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, জীবনের প্রতিটি ধাপে বাবার অবদান কতটা গভীর। আজ বাবা দিবসে বাবা প্রকৌশলী আমিনুল হককে নিয়ে কিছু না বলা কথা বলেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।

তিনি লিখেছেন, “আমার বাবা আমার সুপারহিরো। তিনি আমাকে ভালোবাসা আর বিশ্বাসে এমনভাবে বড় করেছেন যে, আমি যদি কখনো চাঁদ চাইতাম, তিনি বলতেন, ‘অপেক্ষা কর-আমি নিয়ে আসছি।’ আমি তার মূল্যবোধ, শক্তি এবং অটল সাহসের মাঝে বড় হয়েছি।”

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ মানুষ তিনি-যিনি আমাকে নিঃশর্তভাবে ভালোবাসেন। তার মতো সৎ এবং দেশপ্রেমিক মানুষ আমি আর কখনো দেখিনি।’

বাবার সঙ্গে তার মতের পার্থক্যও আছে বলে জানালেন এই অভিনেত্রী। তার কথায়, ‘আমাদের মাঝে মতপার্থক্য আছে-সবসময় একমত হই না। তবু আমাদের সম্পর্কে যে জিনিসটি কখনো বদলায়নি, সেটা হলো পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা।’

শৈশব থেকে আজ পর্যন্ত বাঁধনকে নিয়ে অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তার বাবাকে। তবুও সব মেনে নিয়ে পাশে থেকেছেন তিনি।

বাঁধনের ভাষ্য, ‘আমি কখনোই একেবারে নিয়মমাফিক বা আদর্শ মেয়ে ছিলাম না। শৈশব থেকে আজ অবধি আমি জানি, আমার কারণে তাকে অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। আমি ছিলাম একগুঁয়ে, আবেগপ্রবণ, কখন কী করি বলা যায় না-তবুও সবকিছু সহ্য করে তিনি আজীবন আমার পাশে থেকেছেন।’

সব শেষে বাবাকে ধন্যবা জানিয়ে বাঁধন লিখেছেন, ‘তুমি যেমন, তেমনি থাকার জন্য ধন্যবাদ আব্বু। আমি তোমাকে এত ভালোবাসি-যা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ