ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু আজ, ফিরতি টিকিট ২৪ মার্চ
Published: 14th, March 2025 GMT
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে অগ্রিম টিকিট বিক্রির বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঈদের আগের যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে আজ শুক্রবার (১৪ মার্চ) থেকে। আজ বিক্রি হবে ২৪ মার্চের টিকিট।
এ ছাড়া, ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ২৪ মার্চ। এবারও আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ৯ মার্চ রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো.
আরো পড়ুন:
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ডাক
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ৪ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব এহসানুল হক।
ঈদের আগের অগ্রিম টিকিট বিক্রির সময়সূচি
• ২৫ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ১৫ মার্চ
• ২৬ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ১৬ মার্চ
• ২৭ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ১৭ মার্চ
• ২৮ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ১৮ মার্চ
• ২৯ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ১৯ মার্চ
• ৩০ মার্চের টিকিট বিক্রি হবে ২০ মার্চ
চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ৩১ মার্চ, ১ ও ২ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি করা হতে পারে।
ঈদের পরের ফিরতি টিকিট বিক্রির সময়সূচি
• ৩ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৪ মার্চ
• ৪ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৫ মার্চ
• ৫ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৬ মার্চ
• ৬ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৭ মার্চ
• ৭ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৮ মার্চ
• ৮ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ২৯ মার্চ
• ৯ এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হবে ৩০ মার্চ
রেলওয়ে জানিয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে ২৫ শতাংশ টিকিট ট্রেন ছাড়ার আগে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকেও পাওয়া যাবে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ একবার টিকিট কিনতে পারবেন এবং সর্বোচ্চ চারটি আসন সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে, কোনও টিকিট রিফান্ডযোগ্য নয়।
ঢাকা/হাসান/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক পর বহন ঈদ উৎসব ঈদ ২৪ ম র চ
এছাড়াও পড়ুন:
অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমার বিধান প্রশ্নে রুল
বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের একটি ধারা প্রশ্নে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। ধারাটিতে অপরাধ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা উল্লেখ রয়েছে। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।
২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের ১৮ ধারায় অপরাধ আমলে নেওয়ার সময়সীমা সম্পর্কে বলা হয়েছে। ধারাটি বলছে, অপরাধ সংঘটিত হওয়ার দুই বছরের মধ্যে অভিযোগ করা না হলে আদালত ওই অপরাধ আমলে গ্রহণ করবে না।
ওই ধারার বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান গত মাসের শেষ দিকে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
রুলে অপরাধের অভিযোগ আমলে নেওয়ায় দুই বছরের সময়সীমা আরোপ–সংক্রান্ত বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ১৮ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলের বিষয়টি জানিয়ে আবেদনকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বাল্যবিবাহের ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ তৃতীয় এবং দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ শীর্ষে বলে ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এসেছে। আইনের ১৮ ধারায় সময়সীমা উল্লেখ করে দুই বছরের মধ্যে মামলা না করতে পারলে কোনো আদালত অপরাধ আমলে গ্রহণ করতে পারবে না বলা হয়েছে। অর্থাৎ বিচার করতে পারবে না। যে মেয়েটির ১১–১২ বছরে বিয়ে হয় তারপক্ষে দুই বছরের মধ্যে মামলা করা সব সময় সম্ভব না–ও হতে পারে। তখন সে নিজেই শিশু। দুই বছর পর আদালত বিচার করতে পারবে না এবং সময়সীমা আইনে বেঁধে দেওয়া সংবিধানের ২৭, ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী—এমন সব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।