পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে আদালতে হাজিরের আদেশ দিয়েছিলেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি)। তবে কারা কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আইনজীবী মাশাল ইউসুফজাই ইমরানের সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ করতে চাইলে তাঁকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এরপর তিনি আদালতে পিটিশন করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরানকে আদালতে সরাসরি অথবা ভিডিওকলে হাজির করার আদেশ দেন।
সময়সীমা অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পর ইসলামাবাদের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) বলেছেন, নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে তাঁকে হাজির করা সম্ভব হয়নি। সেই সঙ্গে ভিডিওকলেও তাঁকে যুক্ত করা সহজ ছিল না। এবার আদিয়ালা জেল সুপার ও ইসলামাবাদের এজিকে এ ব্যর্থতার কারণ ব্যাখ্যা করে হলফনামা পেশ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ডন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইমর ন খ ন ইসল ম ব দ হ জ র কর ইমর ন
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।