ঘড়ির কাঁটা ঘুরছে, আর সময় কমছে। ঘনিয়ে আসছে হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশে আসার দিনক্ষণ। সব ঠিক থাকলে আগামীকাল (১৬ মার্চ) যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় দুপুরে শেফিল্ড ওয়েডনেসডের সঙ্গে ম্যাচ খেলে রাতেই সিলেটের বিমান ধরবেন। ১৭ মার্চ তাঁর সিলেটে পৌঁছানোর কথা।

হামজা আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবারের আসাটা বিশেষ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ফুটবল দলের খেলোয়াড় হয়ে দেশে আসছেন তিনি। স্মরণীয় এ সফরে তাঁর সঙ্গী হবেন ৯ জন।

হামজার সঙ্গে আসছেন তাঁর মা, স্ত্রী, তিন সন্তান ও দুই ভাই। বাবা আগেই চলে এসেছেন। হামজার ইচ্ছা, বাংলাদেশের জার্সিতে তাঁর অভিষেক মাচটা যেন পরিবারের সবাই মাঠে বসে দেখেন। ২৫ মার্চ শিলংয়ের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

হামজার বাংলাদেশ দলে অভিষেক দেখতে যুক্তরাজ্য থেকে আসা পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সিলেট থেকেও কয়েকজন সঙ্গী হতে পারেন। তবে ইংল্যান্ড থেকে ফিজিও আনার কথা হামজা বলেছেন বলে সংবাদপত্রে যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল, তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন বাফুফে সহসভাপতি ফাহাদ করিম, ‘হামজা আমাদের এমন কিছু বলেনি।’

সোমবার সিলেটে নেমে সরাসরি হবিগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে হামজা চৌধুরীর। প্রিমিয়ার লিগের দল লেস্টার সিটি থেকে এখন তিনি ধারে খেলছেন চ্যাম্পিয়নশিপের ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেডে। ১৭ মার্চ সিলেট পৌঁছে সেদিন রাতটা নিজের গ্রামের বাড়িতে কাটাবেন।

১৮ মার্চও সেখানেই থাকতে পারেন, আবার দিনের শেষ ফ্লাইট ধরে ঢাকায়ও চলে আসতে পারেন। বিষয়টা এখনো নিশ্চিত নয়। এ প্রসঙ্গে ফাহাদ করিম আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামজা ১৮ মার্চ ঢাকায় আসতে পারেন। আবার ১৯ মার্চ সকালেও আসতে পারেন। এটা তাঁর ওপর নির্ভর করছে।’

১৯ মার্চ দুপুরে টিম হোটেলে বাংলাদেশ দলের অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্সে হওয়ার কথা রয়েছে। তাতে কোচ, অধিনায়ক, হামজা কথা বলবেন। এর আগে সকালে দলীয় ফটোসেশন হবে। বিকেল বা সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামার কথা পুরো দলের। ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমরা চাই হামজা এখানে এক দিন অনুশীলন করুন। তবে অনুশীন না জিম হবে, তা ঠিক করবেন কোচ। দেখা যাক কী হয়।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ২৫ মার্চ হলেও কোচ হাভিয়ে কাবরেরা ২০ মার্চেই শিলংয়ে যেতে চেয়েছেন। তার ইচ্ছাই পূরণ করছে বাফুফে। ২০ মার্চ সকালে ফ্লাইটে কলকাতা হয়ে শিলংয়ে যাবে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে হাতে সময় কম। তাই হামজার জন্য আপাতত বলার মতো কোনো সংবর্ধনা হচ্ছে না। এ কথা জানিয়ে ফাহাদ করিম বলছেন, ‘তিনি সরাসরি ঢাকায় এলে একটা সংবর্ধনাও আয়োজন করা যেত। এখন হাতে সময় না থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ হ দ কর ম

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিএনপির কথা শুনবে, না হয় ইউএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে চলে যেতে হবে’

‘ঐক্যবদ্ধ হলে প্রশাসন বাধ্য হবে বিএনপির কথা শুনতে। হয় বিএনপির কথা শুনবে, না হয় এখান থেকে ইএনওগিরি-ওসিগিরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চলে যেতে হবে। তাদের আর সুযোগ দেওয়া যাবে না, অনেক সুযোগ দিয়েছি। এখন আর সুযোগ দেওয়ার সময় নেই। এখন আমাদের দাবি আমাদের আদায় করে নিতে হবে।’

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও পটিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইদ্রিচ মিয়ার এমন বক্তব্যের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। 

ভিডিওটিতে দেখা যায়, ইদ্রিচ মিয়ার পেছনে ঈদ পুনর্মিলনীর ব্যানার টাঙানো। সাতকানিয়া সাংগঠনিক ইউনিট বিএনপি লেখা রয়েছে ব্যানারে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকেলে সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সব সাংগঠনিক ইউনিটের যৌথ উদ্যোগে স্থানীয় একটি কমিউনিটি হলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইদ্রিচ মিয়া। 

জানতে চাইলে ইদ্রিচ মিয়া বলেন, ইউএনও-ওসিকে নিয়ে এ ধরনের কোনো বক্তব্য তিনি কোথাও দেননি। তাঁকে হেয় করার উদ্দেশ্যে ভিডিওটি বানানো হয়েছে।

গত ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে আহ্বায়ক করা হয় মো. ইদ্রিস মিয়াকে। পরে গত ৬ মে ৫৪ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে ইদ্রিস মিয়া চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহসভাপতি ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ