থাইল্যান্ড কর্মকর্তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করলো যুক্তরাষ্ট্র
Published: 15th, March 2025 GMT
থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় থাইল্যান্ডের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে এ ঘোষণা করেছে।
বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “থাই কর্মকর্তারা ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।” খবর: রয়টার্সের।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আরও উল্লেখ করেছেন, “চীন দীর্ঘদিন ধরে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন, অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আমরা সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা উইঘুরদের চীনে ফেরত না পাঠায়।”
উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমরা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত মুসলিম সম্প্রদায়, যারা সরকারের নির্যাতনের শিকার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে বিক্ষোভ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
থাই কর্তৃপক্ষ শুরুতে ইউনাইটেড স্টেটস এবং কানাডা থেকে উইঘুরদের পুনর্বাসন নিয়ে সাহায্য প্রস্তাব পেয়েছিল, তবে থাইল্যান্ড চীনকে ক্ষুব্ধ করতে চায়নি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর পর প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সেময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাংকক বলেছিল, আইন ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেই এই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিবৃতি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫