থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেওয়া অন্তত ৪০ জন উইঘুর মুসলিমকে চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় থাইল্যান্ডের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এক দাপ্তরিক বিবৃতিতে এ ঘোষণা করেছে।

বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “থাই কর্মকর্তারা ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের জোরপূর্বক চীনে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় যুক্ত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে।” খবর: রয়টার্সের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও আরও উল্লেখ করেছেন, “চীন দীর্ঘদিন ধরে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতন, অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। আমরা সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন তারা উইঘুরদের চীনে ফেরত না পাঠায়।”

উল্লেখ্য, উইঘুর মুসলিমরা চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে অবস্থিত মুসলিম সম্প্রদায়, যারা সরকারের নির্যাতনের শিকার। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানে বিক্ষোভ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছিল।

থাই কর্তৃপক্ষ শুরুতে ইউনাইটেড স্টেটস এবং কানাডা থেকে উইঘুরদের পুনর্বাসন নিয়ে সাহায্য প্রস্তাব পেয়েছিল, তবে থাইল্যান্ড চীনকে ক্ষুব্ধ করতে চায়নি।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উইঘুর মুসলিমদের ফেরত পাঠানোর পর প্রাথমিকভাবে অসন্তোষ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সেময় আত্মপক্ষ সমর্থন করে ব্যাংকক বলেছিল, আইন ও মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখেই এই উইঘুরদের ফেরত পাঠানো হয়েছে।

শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে বিবৃতি প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে ওয়াশিংটনে থাই দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স, তবে কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরর ষ ট র কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ