চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
এতে পাস করেছেন ১২ হাজার ৬৫৬ জন পরীক্ষার্থী; যা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মোট শিক্ষার্থীর ২০.২৪ শতাংশ।
রবিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ ও ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশিত হয়েছে। ফলাফলে ৭৯.
আরো পড়ুন:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)
মূল সনদ নিলে সমাবর্তনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই
ছাত্রদল কর্মীদের বিরুদ্ধে চবি শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল শাহীন খান।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের আসন সংখ্যা ১ হাজার ২২১টি। এর বিপরীতে আবেদন করেন ৭৩ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী। তবে তিনটি কেন্দ্রে মোট উপস্থিত ছিলেন ৬২ হাজার ৫২৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১২ হাজার ৬৫৬ জন।
গত ৮ মার্চ তিন বিভাগীয় শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী) ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চবির ৪ হাজার ৯২৬টি আসনের বিপরীতে এবার আবেদন করেন ২ লাখ ৭১ হাজার ২৩৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
আগামী ২২ মার্চ সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিট এবং ২৪ মার্চ ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের চবির ভর্তিযুদ্ধ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?