মুন্সীগঞ্জর গজারিয়া উপজেলার দুইটি চুনা কারখানায় অভিযান চালিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ। এসময় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কারখানা দুইটি গুঁড়িয়ে দেয় তারা। এই কারখানাগুলোতে প্রতি মাসে প্রায় ৬৮ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

রবিবার (১৬ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা গ্রামে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.

মামুন শরীফ।

অভিযান শেষে গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মামুন শরীফ বলেন, “গজারিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ নিয়ে পরিচালিত হয় এমন কিছু ঢালাই লোহা এবং চুনা কারখানা রয়েছে। এসব কারখানার ব্যাপারে খবর পাওয়ার পরপরই আমরা অভিযান পরিচালনা করি। আজকে আনারপুরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুইটি অবৈধ চুনা কারখানা গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো।”

আরো পড়ুন:

ভবনে ঢুকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন ব্যাটারি বাবু!

গোপালগঞ্জে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে দুদক

তিতাস গ্যাস সোনারগাঁ মেঘনাঘাট অঞ্চলের ব্যবস্থাপক সুরজিত কুমার সাহা বলেন, “গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। আজকে আমরা ভবেরচর ইউনিয়নের আনারপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুইটি অবৈধ চুনা কারখানার গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করি। পাশাপাশি কারাখানা দুইটির সব স্থাপনা এক্সেভেটর দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছি। কারখানার দুটিতে প্রতিমাসে ৬৮ লাখ টাকার গ্যাস ব্যবহার করা হতো।”

অভিযানের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সহকারী প্রকৌশলী শাহ আলম রনি, উপ-সহকারী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম। অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা দেয় গজারিয়া থানা পুলিশ।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য ন উপজ ল সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্বামী-সন্তানের সঙ্গে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন, মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের চাকায় মৃত্যু নারীর

চট্টগ্রামের পটিয়ায় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ার পর বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নারীর নাম ফজিলাতুন নেসা (২৮)। তিনি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর থানার মহেশপুর গ্রামের আলিমুজ্জামান সুজনের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে গতকাল রোববার চট্টগ্রামে বেড়াতে আসেন ফজিলাতুন নেসা। তাঁদের ছয় বছর বয়সী সন্তানও সঙ্গে ছিল। গতকাল চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাটের একটি বাসায় তাঁরা রাত্রিযাপন করেন। সকালে সেখান থেকে মোটরসাইকেলে করে তাঁরা বান্দরবানের উদ্দেশে রওনা দেন। আলিমুজ্জামান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন এবং তাঁর পেছনে ছয় বছর বয়সী সন্তান হুমায়ের হাম্মাদ, এরপর ফজিলাতুন নেসা বসে ছিলেন।

সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়ার নয়াহাট এলাকায় পৌঁছায় মোটরসাইকেলটি। সেখানে সামনে থাকা একটি লেগুনা হঠাৎ সড়কে থেমে গেলে তাৎক্ষণিক মোটরসাইকেলটির ব্রেক কষেন আলিমুজ্জামান। এ সময় ফজিলাতুননেসা মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। এর পরপরই পেছন থেকে একটি যাত্রীবাহী বাস ফজিলাতুন নেসাকে পিষ্ট করে। তাঁকে উদ্ধার করে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল রাতে চট্টগ্রাম নগরের যে বাসাটিতে ফজিলাতুন নেসা ছিলেন, সেটি তাঁর স্বামী আলিমুজ্জামানের বন্ধু রবিউল ইসলামের। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রবিউল ইসলামের বোন আশরিফা আহমদ ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ফজিলাতুন নেসার স্বামী নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির কনিষ্ঠ সহকারী ব্যবস্থাপক। পরিবার নিয়ে পাহাড় দেখতে বান্দরবানে বেড়াতে যাচ্ছিলেন তিনি। বেড়াতে যাওয়ার পথেই স্বামী-সন্তানের সামনে দুর্ঘটনায় তাঁর প্রাণহানি হয়েছে।

পটিয়া ক্রসিং হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট ওয়াসিম আরাফাত দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত নারীর লাশ আইনি–প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। লেগুনা ও বাসের চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ